২ বছরের সাজা মাথায় নিয়ে নির্বাচন নয়

বিএনপির পাঁচ নেতার দুর্নীতির পৃথক মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে করা পৃথক আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দুই বছরের বেশি দণ্ড ও সাজা হলে সাজা মাথায় নিয়ে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে আদালত অভিমত দিয়েছেন।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশের পাশাপাশি কিছু অভিমত দেন।

আবেদনকারী পাঁচ নেতা হলেন আমান উল্লাহ আমান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ওয়াদুদ ভূঁইয়া, মো. মসিউর রহমান ও মো. আবদুল ওহাব।

আদেশের পর দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, দুই বছরের বেশি সাজা হলে সাজা মাথায় নিয়ে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে আদালত অভিমত দিয়েছেন। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল বিচারাধীন, আবেদনকারী জামিনে আছেন, জরিমানার আদেশ স্থগিত হয়েছে—এসব দণ্ড বা সাজা স্থগিতের যুক্তি হতে পারে না বলেছেন আদালত। সংবিধান সর্বোচ্চ আইন। দণ্ডিত সাজাপ্রাপ্তদের নির্বাচন করার বিষয়ে সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদে বাধা আছে।

বিএনপি নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেনের আইনজীবী খায়রুল আলম চৌধুরী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬ ধারা অনুসারে দণ্ড স্থগিতের সুযোগ নেই বলেছেন আদালত। দণ্ড ও সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আদালতে কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তির করা আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ওই ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, বলেছেন আদালত।

আদালতে আমান উল্লাহ আমানের পক্ষে আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম, জাহিদের পক্ষে রোকনউদ্দিন মাহমুদ, আহসানুল করিম ও খায়রুল আলম চৌধুরী, ওয়াদুদ ভূঁইয়া ও আবদুল ওহাবের পক্ষে ছিলেন রফিক-উল হক ও ফখরুল ইসলাম। মসিউর রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমিনুল হক ও মাহবুব শফিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।