শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার ঘটনায় ঢাবি ছাত্রফ্রন্টের উদ্বেগ

শিক্ষার্থীদের ‘আত্মহত্যা’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। ঢাকা, ২৭ নভেম্বর। ছবি: প্রথম আলো
শিক্ষার্থীদের ‘আত্মহত্যা’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। ঢাকা, ২৭ নভেম্বর। ছবি: প্রথম আলো

চলতি মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন শিক্ষার্থী ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। এই বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আটজন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আত্মহত্যার এসব ঘটনার কারণ হিসেবে শিক্ষাজীবন নিয়ে হতাশা, প্রেমঘটিত সম্পর্কের টানাপোড়েন, কাঙ্ক্ষিত চাকরি না পাওয়া, দারিদ্র্য ইত্যাদি বিষয়ে উঠে এসেছে। সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের এসব আত্মহত্যার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকের সামনে এক মানববন্ধনে সংগঠনটি এই উদ্বেগ জানায়।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক নিখিল চন্দ্র নাথের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ তমা ও সদস্য আমজাদ হোসেন বক্তব্য দেন।

সভাপতির বক্তব্যে সালমান সিদ্দিকী প্রশ্ন তোলেন, ‘প্রত্যেকটি আত্মহত্যাই কী একেকটি হত্যা নয়?’ তিনি বলেন, ‘আত্মহত্যার ঘটনাগুলোর পেছনে আর্থসামাজিক কারণ রয়েছে, রয়েছে একটি অমানবিক সমাজের বাস্তবতা। ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে মর্যাদার সম্পর্কের পরিবর্তে এখন রাজা-প্রজার সম্পর্ক বিরাজমান। বাড়ছে হল ও বিভাগ ফি, বাড়ছে আর্থিক অনিশ্চয়তা। হলগুলোতে দখলদারির মাধ্যমে দাসব্যবস্থা তৈরি করে রাখা হয়েছে। এই অমানবিক অবস্থাই ছাত্রদের মধ্যে হতাশা তৈরি করছে। শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।’

প্রগতি বর্মণ তমা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় এখন মানবিক, সৃজনশীল ও স্বপ্নবান মানুষ তৈরির পরিবর্তে ক্ষমতাসীনদের অনুগত মানুষ তৈরিতে ব্যস্ত। প্রতিটি আত্মহত্যা মানে একেকটি স্বপ্নের মৃত্যু। একজন মানুষকে সরাসরি হত্যা করলে হত্যাকারীর শাস্তি হয়। কিন্তু যে রাষ্ট্র অমানবিক পরিবেশ তৈরি করে বহু মানুষকে হত্যা করছে, তার শাস্তি কে নিশ্চিত করবে?’