মনোনয়নপত্র দাখিলে কেন পুলিশ, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

নুরুল ইসলাম নাহিদ। ফাইল ছবি
নুরুল ইসলাম নাহিদ। ফাইল ছবি

সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ছিল। আজ বুধবার সকালে নির্বাচনী এলাকার বিয়ানীবাজার ও সিলেটে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। সঙ্গে ছিলেন বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র আবদুশ শুকুর এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খানও ছিলেন তাঁদের সরকারি গাড়ি নিয়ে।

সিলেটে বেলা আড়াইটার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর পুলিশ প্রটোকল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ প্রটোকল হিসেবে আসেনি। আমি বলেছিলাম আমার কোনো প্রটোকলের প্রয়োজন নেই। তারা (পুলিশ) বলেছে প্রটোকল নয়, নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।’

এবার শিক্ষামন্ত্রীর আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে সর্বোচ্চসংখ্যক মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। প্রবাসী আওয়ামী লীগের নেতাসহ ১১ জন মনোনয়ন দৌড়ে ছিলেন। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‌‘আওয়ামী লীগ জাতে মাতাল তালে ঠিক। অনেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে পোষণ করলেও প্রার্থী মনোনয়নের পর নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’

এবারের সংসদ নির্বাচন আগেরগুলো থেকে ব্যতিক্রম, উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‌নির্বাচনের পূর্বে প্রধানমন্ত্রী সকল দলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে এগুলো প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে জনগণ আবারও নৌকাকে বিজয়ী করে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনবে।’

মন্ত্রী হয়ে আবার প্রার্থী হচ্ছেন, এতে সমান সুযোগ থাকছে কি না? এমন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এটি সংবিধানের বিষয়। তবে নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর ও সুষ্ঠু রয়েছে।’

স্থানীয় নির্বাচনে নির্বাচনী এলাকা গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হেরেছেন। সিলেটের বিভিন্ন আসনে এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে এসব ব্যাপার কীভাবে দেখছেন? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন দুটি ভিন্ন বিষয়। আমার এলাকায় যা উন্নয়ন হয়েছে, তাতে অন্য দলের নেতা-কর্মীরাও বলছেন, আর কোনো কাজের প্রয়োজন নেই।’