৩০ ডিসেম্বরের ম্যাচে মাশরাফির প্রতিদ্বন্দ্বী এক ডজন

মাশরাফি বিন মুর্তজা
মাশরাফি বিন মুর্তজা

আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে লড়তে চান বিএনপির তিনজনসহ মোট ১২ জন। মাশরাফিসহ সবাই গতকাল বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

বিএনপির তিনজন হলেন সাবেক সাংসদ মুফতি শহিদুল ইসলাম, ২০-দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান এ জেড এম ফরিদুজ্জামান ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব শরীফ কাশাফুদ্দোজা।

মুফতি শহীদুল ইসলাম ২০০১ সালের নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। শেখ হাসিনা ৪ হাজার ২৩৩ ভোটে বিজয়ী হন। এরপর তিনি আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে শহিদুল ইসলাম সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তিনি বাংলাদেশ গণসেবা আন্দোলন নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। এ দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আবদুর রহমান বলেছেন, শহিদুল বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন।

বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া বাকি দুজনের মধ্যে এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামানের বাড়ি লোহাগড়া সদরের কুন্দশী মোড়ে। শরীফ কাশাফুদ্দোজা সাবেক সাংসদ শরীফ খসরুজ্জামানের ছেলে।

ফরিদুজ্জামান বলেন, ‘ধানের শীষের চূড়ান্ত প্রার্থী কে হবেন, তা কেন্দ্রীয় নেতারা ঠিক করবেন। মাশরাফি দেশের সম্পদ। আমি তাঁকে পছন্দ করি। সবাই পছন্দ করে। কিন্তু খেলার মাঠ আর ভোটের মাঠ এক নয়। এখানে ইলেকশন হবে নৌকার সঙ্গে ধানের শীষের। আমি মনে করি, যদি মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়, তবে ধানের শীষ ওই আসনে জিতবে ইনশা আল্লাহ।’

এ ছাড়া এই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি ও বর্তমান সাংসদ শেখ হাফিজুর রহমান, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, জাসদের (রব) ফকির শওকত আলী, ইসলামী ঐক্যজোটের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম নাসিরউদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোটের মাহবুবুর রহমান ও এনপিপির জেলা সভাপতি মনিরুল ইসলাম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এই আসনে তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাঁরা হলেন মনির হোসাইন, শেখ জামাল উদ্দিন ও সাবেক সাংসদ শহিদুলের ছেলে তালহা ইসলাম।

মাশরাফির নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনার দায়িত্ব দলের
বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনার সব দায়িত্ব নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগকে দিয়েছেন তাঁর বাবা গোলাম মুর্তজা স্বপন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি নেতাদের এ দায়িত্ব দেন।

মাশরাফির বাবা প্রথম আলোকে বলেন, মাশরাফির সব নির্বাচনী কর্মকাণ্ড জেলা আওয়ামী লীগের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী হবে।