এবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম

সিরাজুল ইসলাম
সিরাজুল ইসলাম

নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনের বর্তমান সাংসদ ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা এবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় গত বুধবার তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

জানা গেছে, গত রোববার আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে দলীয় প্রত্যয়নপত্র প্রদানের দিন এবং পরদিন সোমবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মনোনয়নপ্রাপ্ত হিসেবে সিরাজুল ইসলাম মোল্লার নাম প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়। এতে শিবপুরের দলীয় নেতা-কর্মীরা উল্লাস করেন। কিন্তু পরে জানা যায়, দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সাংসদ জহিরুল হক ভূঁইয়া। এতে হতাশ হন সিরাজুল ইসলাম মোল্লার কর্মী-সমর্থকেরা।

এই আসনের চারবারের সাংসদ ছিলেন বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত আবদুল মান্নান ভূঁইয়া। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তাঁকে পরাজিত করে নৌকা প্রতীকে সাংসদ নির্বাচিত হন জহিরুল হক ভূঁইয়া। সে সময় দলীয় কিছু নেতা-কর্মীর হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সমালোচিত হন তিনি। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জহিরুল হক ভূঁইয়াকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র সাংসদ হয়েছিলেন সিরাজুল ইসলাম মোল্লা।

দলের কর্মী-সমর্থকেরা বলছেন, সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন সিরাজুল ইসলাম। তিনি উপজেলার মডেল মসজিদ, পৌর ভবন ও পানি সরবরাহ প্রকল্পের জন্য ব্যক্তিগতভাবে প্রায় চার কোটি টাকা দিয়ে জমি কিনে দিয়েছেন। মোট ৮৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন নির্মাণ করেছেন। উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে। নতুন রাস্তাঘাট নির্মাণসহ পুরোনো রাস্তার সংস্কার করেছেন। উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছেন। কর্মী-সমর্থকেরা বলছেন, শিবপুরে দলীয় প্রতীক নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সিরাজুল ইসলাম মোল্লার প্রয়োজন ছিল। সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘জনগণের সেবায় আমৃত্যু নিয়োজিত থাকতে কর্মী-সমর্থকদের অনুরোধে তাই আবারও সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আমার বিশ্বাস, শিবপুরের জনগণ এবারও আমাকে নির্বাচিত করবেন।’