হাসাদুল-হাসানুল ভাইদের মনোনয়ন বাতিল

হাসানুল ইসলাম  ও হাসাদুল ইসলাম
হাসানুল ইসলাম ও হাসাদুল ইসলাম

পাবনা-৩ (চাটমোহর-ফরিদপুর) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশায় দীর্ঘদিন ধরে মাঠে ছিলেন সহোদর দুই ভাই। চলছিল নানা জল্পনাকল্পনা। মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন দুই ভাই। একজন পেয়েছিলেন দলীয় টিকিট, অন্যজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু চূড়ান্ত বাছাইয়ে দুজনেরই মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেছে।

এই দুই ভাই হলেন চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম এবং তাঁর ভাই জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জাসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসানুল ইসলাম।

স্থানীয় লোকজন ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি ছিলেন না। ফলে দুই ভাই দলীয় মনোনয়নের জন্য দৌড়াচ্ছিলেন। শেষ দৌড়ে ছোট ভাই হাসাদুল ইসলাম দলীয় টিকিট পান। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে মনোনয়নপত্র জমা দেন। বড় ভাই হাসানুলও ছাড়বেন না। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনিও। আসনটিতে বিএনপি থেকে আরও মনোনয়নপত্র জমা দেন সাবেক সাংসদ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্রের সবকিছু ঠিক থাকলেও হাসাদুল ইসলামের উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। ফলে তিনি প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন। অন্যদিকে হাসানুল ইসলাম ১ শতাংশ সমর্থকদের যে স্বাক্ষর দিয়েছেন, তা জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে। ফলে তিনিও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন।

এদিকে দুই ভাইয়ের মনোনয়নপত্র বাতিলের খবরে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে আনন্দ-হতাশা দুই–ই দেখা গেছে। দুই ভাইয়ের সমর্থকদের মধ্যে কিছুটা হতাশা নেমে এলেও আনন্দে আছেন সাবেক সাংসদ কে এম আনোয়ারুল ইসলামের সমর্থকেরা।

এ প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে হাসাদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি সব নিয়মকানুন মেনেই উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ পাঠিয়েছিলাম ও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলাম। ধারণা করছি, আমার পদত্যাগপত্রটি কোনো একটি পক্ষ মন্ত্রণালয়ে পৌঁছাতে দেয়নি। তারপরও নিয়তি হিসেবে বিষয়টি মেনে নিচ্ছি।’