আচরণবিধি ভেঙে সমাবেশ প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের

যুব সমাবেশের নামে জামালপুর-৩ আসনের সাংসদ মির্জা আজমের নির্বাচনী প্রচারণা। গতকাল বিকেল চারটার দিকে মেলান্দহ উপজেলার শহীদ মিনার চত্বরে।  ছবি: প্রথম আলো
যুব সমাবেশের নামে জামালপুর-৩ আসনের সাংসদ মির্জা আজমের নির্বাচনী প্রচারণা। গতকাল বিকেল চারটার দিকে মেলান্দহ উপজেলার শহীদ মিনার চত্বরে। ছবি: প্রথম আলো

যুব সমাবেশ আয়োজনের নামে জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হয়েছে। নেতা–কর্মীরা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে মিছিল ও মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। যা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে প্রধান অতিথি হিসেবে যুব সমাবেশে যোগ দেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। মেলান্দহ উপজেলা যুবলীগের আয়োজনে শহীদ মিনার চত্বরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়। সরেজমিনে বেলা তিনটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত সমাবেশে উপস্থিত থেকে দেখা যায়, বিভিন্ন জায়গা থেকে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা–কর্মীরা যুব সমাবেশে অংশ নিতে থাকেন। মোটরসাইকেল মহড়া দিয়েও একটি পক্ষ সমাবেশে অংশ নেয়। বেলা সাড়ে তিনটার মধ্যেই খোলা মাঠটি মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এরপর স্থানীয় নেতা–কর্মীরা বক্তব্য শুরু করেন।

অনুষ্ঠানে বেশির ভাগ বক্তা পাঁচবারের সাংসদ মির্জা আজমকে আমৃত্যু সাংসদ নির্বাচিত করার ঘোষণা দেন। বিশাল ভোটের ব্যবধানে মির্জা আজমকে নির্বাচিত করে শেখ হাসিনাকে আসনটি উপহার দেওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয় সমাবেশ থেকে। প্রায় বক্তাই নির্বাচনী সংশ্লিষ্ট বক্তব্য রাখেন।

নির্বাচনী আচরণবিধির ১২ ধারা অনুযায়ী, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বা দলের মনোনীত প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না। আচরণবিধির ৮ ধারা মতে, মোটরসাইকেল সহকারে মিছিল বা কোনোরূপ শোডাউন দেওয়া যাবে না।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল বিকেলে মির্জা আজমের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ধরেননি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত মেলান্দহ উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য একেএম হাবিবুর রহমান বলেন, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতার জন্মদিন উপলক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেখানে কোনো প্রচারণা চালানো হয়নি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর বলেন, রাজনৈতিক সভা ও সমাবেশ নিষেধ নয়। তবে ১০ তারিখের আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালানো যাবে না। খোলা মাঠে সমাবেশ এবং নির্বাচনী বক্তৃতা রাখা আচরণবিধি লঙ্ঘন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।