১০ বছরে সালাহ্ উদ্দিনের আয় বেড়েছে ১২ গুণ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত সালাহ্ উদ্দিন আহমেদের বার্ষিক আয় গত ১০ বছরে ১২ গুণ বেড়েছে। তবে এই সময়ে কমেছে তাঁর অস্থাবর সম্পদ।
সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ এর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৫ আসন থেকে বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এই দুই সংসদ নির্বাচনের জন্য দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।
নবম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় বিএনপির সাবেক এই সাংসদের বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া থেকে আয় দেখানো হয়েছিল ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। এ সময় ব্যবসা থেকে ৩ লাখ এবং ট্রাক ভাড়া ও ইটখোলা থেকে আয় দেখিয়েছিলেন ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে নবম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তাঁর বার্ষিক ছিল ৬ লাখ টাকা।
এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সালাহ্ উদ্দিন আহমেদের মোট বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ৭৫ লাখ ৯৪ হাজার ২৬০ টাকা, যা ১০ বছর আগের তুলনায় ১২ গুণের বেশি। এবারের হলফনামায় তিনি বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া থেকে ৬৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা আয় দেখিয়েছেন। এই খাতে তাঁর আয় বেড়েছে ৬৬ লাখ ১১ হাজার টাকা। আর ব্যবসা থেকে ৮ লাখ ১৯ হাজার ২৬০ টাকা আয় দেখানো হয়েছে। এটা গতবারের তুলনায় ৫ লাখ ১৯ হাজার ২৬০ টাকা বেশি।

অস্থাবর সম্পদ কমেছে
নবম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ হাতে নগদ ৩৮ লাখ ২৭৫ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ২২ লাখ ২৯ হাজার ৭২৫ টাকা এবং ব্যাংক, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ দেখিয়েছিলেন ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এ সময় স্ত্রীর নামে নগদ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা এবং বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা টাকার পরিমাণ ছিল ৩৫ লাখ ৮৩ হাজার।
এবার সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ তাঁর হাতে নগদ ১৯ লাখ ৬২ হাজার ২৩ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৩৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪৬ টাকা এবং বন্ড, ঋণপত্র ও শেয়ারবাজারে ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ দেখিয়েছেন। পাশাপাশি ৩২ লাখ ৮০ হাজার ৩২০ টাকা দামের একটি গাড়ি, ১ লাখ টাকার অলংকার, ২ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাব এবং দৈনিক দেশজনতা ও এস আহমেদ ফাউন্ডেশন অ্যান্ড সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ দেখিয়েছেন। সব মিলিয়ে তাঁর অস্থাবর সম্পদ হয়েছে ২ কোটি ৭ লাখ ২৫ হাজার ৮৬৬ টাকার। এবার অস্থাবর সম্পদ গতবারের তুলনায় ১ কোটি ৮১ লাখ ৫ হাজার টাকা কম।

স্থাবর সম্পদ
আগের হলফনামায় সালাহ্‌ উদ্দিন আহমেদের নিজ নামে ৬৩৩ দশমিক ২৫ শতাংশ অকৃষিজমির কথা উল্লেখ ছিল। দাম দেখানো হয়েছিল ১৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া এস আহমেদ ফাউন্ডেশন অ্যান্ড সিএনজি ফিলিং স্টেশনসহ একটি দালানের দাম ৮৬ লাখ টাকা এবং ১ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দামের ৪টি বাড়ির কথা উল্লেখ ছিল। এ ছাড়া তাঁর স্ত্রীর নামে একটি বাড়ি ও ফ্ল্যাটের দাম দেখানো হয়েছিল ৪৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। তখন প্রিমিয়ার ব্যাংক মতিঝিল শাখায় ২০ লাখ ৮৭ হাজার ৩২২ টাকার ঋণ দেখানো হয়েছিল।
এবার হলফনামায় মোট ৯৫ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০ টাকার অকৃষিজমির হিসাব দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় নিজ নামে সাতটি ভবনের দাম দেখানো হয়েছে ৪ কোটি ৫২ লাখ ৫৫ হাজার ৮০০ টাকা। এবার তাঁর স্ত্রীর নামে কোনো বাড়ি কিংবা অ্যাপার্টমেন্ট দেখানো হয়নি। হলফনামায় কোনো ঋণের উল্লেখ নেই।