আফছারুলের বেড়েছে আয়, নোমানের সম্পদ
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আফছারুল আমীনের আয় ৯৮ গুণ বেড়েছে। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক মন্ত্রী বিএনপির আবদুল্লাহ আল নোমানের আয় কমলেও সম্পদ বেড়েছে। ১০ বছরের ব্যবধানে তাঁর নগদ টাকা বেড়েছে ২৩ গুণ। স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে আফছারুল আমীনেরও।
পেশায় চিকিৎসক আফছারুল আমীনের আয় ২০০৮ সাল থেকে বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৯১ হাজার টাকা। তবে এর সঙ্গে এবার দায়ও রয়েছে ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ঋণ বাবদ রয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
২০০৮ সালে আফছারুল আমীনের ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা আয়ের বিপরীতে দায় ছিল ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি আয় দেখান ৪৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। দায় ছিল ৮৫ লাখ টাকা।
একইভাবে আফছারুল আমীনের স্থাবর–অস্থাবর সম্পদের পরিমাণও বেড়েছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের এই নেতার অস্থাবর সম্পদ ৫০ গুণ বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৫৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের মূল্য ২ কোটি ২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা টাকা। আর দুজনের স্থাবর সম্পদ যথাক্রমে ৭২ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা। ২০০৮ সালে আফছারুল আমীন ও তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ ছিল যথাক্রমে ১১ এবং ১০ লাখ টাকা। একই সময়ে স্থাবর সম্পদ ছিল সাড়ে ৫ লাখ এবং ৩ লাখ টাকা।
বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের আয় কমলেও অস্থাবর ও স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে। হলফনামায় পেশা হিসেবে ‘সমাজসেবা’ উল্লেখ করেছেন তিনি।
২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, আবদুল্লাহ আল নোমানের বার্ষিক আয় ছিল ২২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। এখন তাঁর বার্ষিক আয় ১৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে নগদ ছিল ২৪ লাখ টাকা। এখন তাঁর কাছে নগদ আছে ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ১০ বছরের ব্যবধানে নগদ টাকা বেড়েছে ২৩ গুণ।
১০ বছর আগে আবদুল্লাহ আল নোমানের অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৯৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রীর ছিল ৮৮ লাখ ৮ হাজার টাকা। এখন নোমানের সম্পত্তি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকায়। আর স্ত্রীর ২৬ কোটি ১৯ লাখ টাকায়। সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ আছে ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিকে ঋণ দিয়েছেন ১১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। একই বিশ্ববিদ্যালয়কে তাঁর স্ত্রী ঋণ দিয়েছেন ২৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
আবদুল্লাহ আল নোমানের স্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকার। ১০ বছর আগে স্থাবর সম্পত্তি ছিল ৮৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকার। এখন তাঁর সম্পত্তি আছে ৫ কোটি ৪২ লাখ টাকার। যার মধ্যে আছে পাঁচটি ফ্ল্যাট।
স্নাতক পাস আবদুল্লাহ আল নোমানের দায়দেনাও বেড়েছে এই সময়ে। আগে তাঁর দায়দেনা ছিল ৪২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এখন তা ১২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।