আতিউরের বিরুদ্ধে সানসিলা

আতিউর রহমান ও সানসিলা জেবরিন
আতিউর রহমান ও সানসিলা জেবরিন

শেরপুর-১ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হুইপ মো. আতিউর রহমানের বিরুদ্ধে লড়বেন বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী সানসিলা জেবরিন ওরফে প্রিয়াঙ্কা। তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীর মেয়ে। ঋণ খেলাপের কারণে বাবা হযরতের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় রাজনীতিতে সম্পূর্ণ নবীন এই প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে দল।

মাত্র ২৫ বছর বয়সী সানসিলাকে মনোনয়ন দেওয়ায় এই আসনে দীর্ঘ ২২ বছর পর ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছে বিএনপি।

বিএনপি ২০০১ ও ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে এ আসনটি জামায়াতকে ছেড়ে দেয়। সর্বশেষ ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জেলা কমিটির সাবেক সহসভাপতি প্রয়াত নজরুল ইসলাম।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-১ আসনে বিএনপির মূল প্রার্থী ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী। কিন্তু কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ খেলাপের  কারণে তাঁর (হযরত) প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে, এমন আশঙ্কায় দলের মনোনয়ন বোর্ড হযরতের মেয়ে সানসিলাকেও বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়। এ ছাড়া এই আসনে নির্বাচন করার জন্য জেলা বিএনপির দুই নেতা শফিকুল ইসলাম ও ফজলুল কাদেরও মনোনয়নপত্র জমা দেন।

কিন্তু ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ঋণ খেলাপের কারণে হযরত আলীর এবং মনোনয়ন বিষয়ে দলের চিঠি না থাকায় শফিকুল ইসলাম ও ফজলুল কাদেরের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। ফলে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সানসিলার মনোনয়ন নিশ্চিত হয়ে যায়।

বিএনপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা এই আসনে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদের হুইপ আতিউর রহমান, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রার্থী ইলিয়াছ উদ্দিনসহ পাঁচ প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়বেন।

পেশায় চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা বর্তমানে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। তিনি এ জেলার তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ এবং বিএনপির একমাত্র নারী প্রার্থী।

বিএনপি প্রার্থী সানসিলা জেবরিন বলেন, ‘একজন সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে তাঁর (আতিউর) বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। এ জন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। নির্বাচন যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তবে ধানের শীষের জয় হবে।’