খুলনায় ছয়টির মধ্যে দুটি আসন জামায়াতকে ছেড়ে দিল বিএনপি

উপরের বাঁ দিক থেকে আমীর এজাজ খান,নজরুল ইসলাম মঞ্জু,আজিজুল বারী হেলাল,রকিবুল ইসলাম বকুল,আবুল কালাম আজাদ,গোলাম পরওয়ার
উপরের বাঁ দিক থেকে আমীর এজাজ খান,নজরুল ইসলাম মঞ্জু,আজিজুল বারী হেলাল,রকিবুল ইসলাম বকুল,আবুল কালাম আজাদ,গোলাম পরওয়ার
>
  • জামায়াতসহ বিএনপির মনোনয়নপত্রের প্রাথমিক চিঠি পাওয়া ১১ জনের মধ্যে ৭ জনই ছিলেন নতুন।
  • চূড়ান্ত মনোনয়নের পর তিন নতুন মুখ ধানের শীষ নিয়ে মাঠে থাকছেন।
  • ছয় প্রার্থীই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে লড়বেন।

 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে খুলনার ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতে বিএনপি ও বাকি দুটি আসনে ২০-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে। ছয় প্রার্থীই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে লড়বেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন নতুন।

চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণার পর খুলনার ছয়টি আসন থেকে বিএনপির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ১১ জনের মধ্যে ২ জন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অন্য তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় তাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলার ৬টি আসন থেকে বিএনপির ২২ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনকে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছিল দলটি। এ ছাড়া জামায়াতের দুই নেতাকেও প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়। জামায়াতসহ বিএনপির মনোনয়নপত্রের প্রাথমিক চিঠি পাওয়া ১১ জনের মধ্যে ৭ জনই ছিলেন নতুন। চূড়ান্ত মনোনয়নের পর তিন নতুন মুখ ধানের শীষ নিয়ে মাঠে থাকছেন।

খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে দলীয় প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন খুলনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান। তিনি ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনেও বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। এই আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী না থাকায় এবং এজাজই জনপ্রিয় প্রার্থী হওয়ায় দল আবারও তাঁকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে।

খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসনে বিএনপির তিনজন দলীয় মনোনয়ন ফরম তুলেছিলেন। পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়। এই আসনে তিনিই ধানের শীষের চূড়ান্ত প্রার্থী থাকছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেছিলেন। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি বিএনপির মেয়র প্রার্থী হিসেবে লড়ে পরাজিত হন।