বিএনপির প্রার্থী নতুন মামলায় গ্রেপ্তার

একাদশ সংসদ নির্বাচন
একাদশ সংসদ নির্বাচন

রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের বিএনপির প্রার্থী আবু সাঈদ চাঁদকে আবারও একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত রোববার বাগমারা থানায় পুলিশের দায়ের করা পুরোনো একটি নাশকতার মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর আগে দায়ের করা মোট ২১টি মামলার ১৯টিতেই তাঁর জামিন আছে।
জেলার বাগমারা থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৩ আগস্ট বাগমারা থানায় এসআই আতাউর রহমান নাশকতার একটি মামলা দায়ের করেন। তখন এই মামলার এজাহারে আবু সাঈদের নাম ছিল না। কিন্তু গত রোববার আবু সাঈদকে ওই মামলাতেই গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আবু সাঈদের আইনজীবী জহুরুল আলম বলেন, একটি মামলায় জামিন পেয়ে যখন তিনি জেল থেকে বের হবেন, ঠিক তখনই তাঁকে আরেকটি মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো। হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের আদেশ রয়েছে, তাঁকে হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেপ্তার করা যাবে না। তারপরেও গত রোববার তাঁকে বাগমারা থানার একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি মামলার এজাহারনামীয় আসামি নন।
এর আগে সর্বশেষ ১৯ নভেম্বর বাঘা থানার নাশকতার একটি পুরোনো মামলায় একইভাবে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আগে তাঁর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা বিচারাধীন ছিল। পরে তিনি কারাগারে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন থানায় আরও পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে চারঘাট উপজেলায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান থেকে আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে আরও ১১ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। উপজেলার সলুয়া ঈদগাহ মাঠে স্থানীয় বিএনপির পক্ষ থেকে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে পুলিশ গেলে কর্তব্যরত পুলিশের উদ্দেশে বিএনপির সমাবেশ থেকে ককটেল ছুড়ে মারা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করে। চারঘাট থানা–পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এই অভিযোগে আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার করে।
জানতে চাইলে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিনি এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন না। তবে তদন্তে
সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে নাম আসায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’