ঢাকার এক আসনে আটকে গেল বিএনপি প্রার্থীর ভোট

ঢাকা-২০ আসনের বিএনপির প্রার্থী তমিজ উদ্দিনের নির্বাচনে অংশ নেওয়া আটকে গেছে। তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেনজির আহমেদের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তমিজ উদ্দিন ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে ২৮ নভেম্বর পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে তা গৃহীত হওয়ার আগেই তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ২ ডিসেম্বর তা বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে তিনি আপিল করলে ইসি ৬ ডিসেম্বর আপিল মঞ্জুর করে বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করে। ইসির এই সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট স্থগিত করায় তমিজ উদ্দিন এখন নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।

আপিলে আটকে গেল দুই চেয়ারম্যানের প্রার্থিতা

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইসিতে বিফল হয়ে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন বগুড়া-৩ আসনে বিএনপির মো. আবদুল মোহিত তালুকদার (আদমদীঘি উপজেলা চেয়ারম্যান) এবং বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির সরকার বাদল (শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান)। পৃথক রিটের শুনানি নিয়ে ৯ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে তাঁদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে ইসি আবেদন করে। আজ চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে ইসির আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন।

ইসির আইনজীবী কামরুন নাহার মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের আদেশ আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্থগিত করে সেদিন আবেদন দুটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন চেম্বার বিচারপতি। ফলে তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।