অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো আগুন সন্ত্রাসীরাই ঘটাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। প্রথম আলো ফাইল ছবি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। প্রথম আলো ফাইল ছবি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন জায়গায় যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো আগুন সন্ত্রাসীরাই ঘটাচ্ছে। হত্যার রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না। গত নির্বাচনে যারা আগুন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে, তারা জেনে গেছে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই তারা আবার ওই কাজে লিপ্ত হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ব্যবসায়ী পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের জনতা আয়োজিত সমাবেশে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আসাদুজ্জামানের পক্ষে ভোট চেয়ে ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রচারণার দ্বিতীয় দিনে গতকাল মঙ্গলবার সারা দেশে অন্তত ১৮ জেলায় সংঘাত ও প্রচারে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নোয়াখালী সদরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লোকজনের সংঘর্ষের সময় গুলিতে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। ফরিদপুর সদরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে নিজেদের এক নেতা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। এসব ঘটনায় আহত মানুষের সংখ্যা দুই শতাধিক।

এ ছাড়া গতকাল ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলা, নোয়াখালীর কবিরহাটে বিএনপির প্রার্থী মওদুদ আহমদের মিছিলে হামলা–ভাঙচুর এবং নরসিংদীতে আব্দুল মঈন খানের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার ঘটনা ছিল উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, অগ্নিসংযোগসহ বিক্ষিপ্ত আরও সংঘাতের খবরও পাওয়া গেছে।

নির্বাচন সামনে রেখে দেশে বড় ধরনের কোনো সহিংসতা হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথেষ্ট তৎপর। তাদের সামনে কোনো চ্যালেঞ্জই চ্যালেঞ্জ না। এ ছাড়া, জনগণও কোনো সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেবে না।

বিজয়ের মাসে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও শেখ হাসিনার বিজয় হবে বলে মনে করেন সরকারের এই মন্ত্রী। তিনি বলেন, সারা দেশে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে মানুষ নৌকার পক্ষে মাঠে নামেনি। কারণ সবাই জেনে গেছে, নৌকার কোনো বিকল্প নেই।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, একসময় কারওয়ান বাজার সন্ত্রাসীদের জনপদ ছিল। গত ১০ বছরে তাদের নির্মূল করা হয়েছে। আবার নির্বাচিত হলে ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী যথাযথভাবে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সমাবেশে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির সহসভাপতি ওমর ফারুক, কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেট ও ইসলামিয়া শান্তি সমিতির সভাপতি বাবুল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেনসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা।