ছাত্রলীগকে কেন্দ্র দখলে রাখতে বললেন তিনি

সুনামগঞ্জ-২ আসনে (দিরাই ও শাল্লা) ভোটের দিন সব কটি কেন্দ্র নিজেদের দখলে রাখতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বলেছেন দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দিরাই পৌরসভার মেয়র মো. মোশারফ মিয়া। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের তিনি বলেন, ‘কোনো সেন্টারে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আধিপত্য বজায় রাখতে দেওয়া হবে না। বিএনপির কোনো কর্মী, কোনো নেতা যদি চোখ রাঙায়, চোখ খুলে নেবে।’

গত মঙ্গলবার দুপুরে দিরাই পৌর শহরে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগের এক কর্মিসভায় তিনি এই বক্তব্য দেন। নির্বাচন সামনে রেখে এই কর্মিসভা হয়।

মোশারফ মিয়ার বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, তিনি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলছেন, ‘কোনো চোখরাঙানি চলবে না।
বিএনপির কথা শোনা যাবে না। বিএনপিকে কোনো সেন্টারে আধিপত্য বজায় রাখতে দেওয়া যাবে না। আমাদের প্রতিটি সেন্টার দখলে রেখে ভোট যাতে বিএনপি না নিতে পারে, তাই প্রস্তুত হয়ে থাকতে হবে।’

এই আসনের বর্তমান সাংসদ আওয়ামী লীগের জয়া সেনগুপ্তা। এবারও তিনি এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। ছাত্রলীগের ওই কর্মিসভায় জয়া সেনগুপ্তাসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মিসভায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মোশারফ মিয়া আরও বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন হবে আওয়ামী লীগের পক্ষের নির্বাচন। সুতরাং সব কটি সেন্টার আমাদের দখলে থাকতে হবে। কোনো সেন্টার বিএনপিকে দেওয়া যাবে না।’

জানতে চাইলে গতকাল দুপুরে মুঠোফোনে মোশারফ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘দিরাই-শাল্লায় ৭৪টি সেন্টার আছে। সব সেন্টারে আমরা ভোটের মাধ্যমে জয়ী হতে চাই। কিন্তু বিএনপির লোকজন যাতে সেন্টারে প্রভাব খাটাতে বা আমাদের কর্মীদের হুমকি দিতে না পারে, এ জন্য ছাত্রলীগ সেন্টার পাহারা দেবে। জনগণ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে, ছাত্রলীগকে সেই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

এ বিষয়ে জয়া সেনগুপ্তা গতরাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়র বলতে চেয়েছেন, কেউ যদি আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর হামলা করে, তাহলে ছাত্রলীগ তা যেন প্রতিহত করে। বিষয়টি নিয়ে যতটা আলোচনা হচ্ছে, আসলে তা ততটা গুরুতর নয়।’

এ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক সাংসদ নাছির উদ্দিন চৌধুরী। জয়া সেনগুপ্তা ও নাছির উদ্দিন চৌধুরী ছাড়াও এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও চারজন। তাঁরা হলেন কমিউনিস্ট পার্টির নিরঞ্জন দাস খোকন, গণতন্ত্রী পার্টির গোলজার আহমদ, মুসলিম লীগের মাহমুদ হাসান চৌধুরী ও ইসলামী আন্দোলনের মো. আবদুল হাই।