১০ বছর পর আবার তাঁরা মুখোমুখি

>

আবদুল মান্নান, শাহীনুর পাশা
আবদুল মান্নান, শাহীনুর পাশা

আবদুল মান্নান ও শাহীনুর পাশা চৌধুরী সর্বশেষ ২০০৮ সালে দুই জোটের প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন।

সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) আসনে ১০ বছর পর আবারও ভোটযুদ্ধে মুখোমুখি হচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী। সর্বশেষ ২০০৮ সালে এই দুই নেতা দুই জোটের প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন।

মোহাম্মদ আবদুল মান্নান নৌকা প্রতীকে ও জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম নেতা মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদ এই আসনে সাংসদ নির্বাচিত হন।

২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল আবদুস সামাদ আজাদ বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেলে ওই বছরের ২০ জুন উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে অংশ নেয়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক সচিব মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ও নাগরিক ঐক্যের প্রার্থী যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য নজরুল ইসলাম এবং চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৪৪ হাজার ৭০১ ভোট পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন শাহীনুর পাশা চৌধুরী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান পান ৩৮ হাজার ৩০১ ভোট।

২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ২০–দলীয় জোটের প্রার্থী জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের নেতা  শাহীনুর পাশা ৫৬ হাজার ৭৬৫ ভোট পান। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ২০–দলীয় জোট অংশ না নেওয়ায় এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ৫০ হাজার ৪৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।