শিবিরের ওপর নির্ভর বিএনপির প্রার্থী

নজিবুল বশর
নজিবুল বশর

বিএনপির প্রার্থী কর্নেল (অব.) মো. আজিম উল্লাহ বাহার জামায়াত–শিবিরের ওপর ভর করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ১৪–দলীয় জোটের শরিক তরিকত ফেডারেশনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। ভান্ডারীর আরও অভিযোগ, বাহারের দুই ভাই শিবিরের ক্যাডার ছিলেন। শিবির ক্যাডাররা ফটিকছড়িকে আবার সন্ত্রাসের জনপদ বানাতে চায়। জামায়াত–শিবিরের প্রয়োজন একটি প্ল্যাটফর্ম। আজিম উল্লাহ বাহার সেই প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিচ্ছেন বলে ভান্ডারী মনে করছেন।

১৪–দলীয় জোটের প্রার্থী ভান্ডারীর অভিযোগ, আশি ও নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ফটিকছড়ি ছিল সন্ত্রাসের জনপদ। শিবিরের ২০–২২টি ক্যাডার বাহিনীর হাতে জিম্মি ছিল এলাকাবাসী। এই ফটিকছড়িতে অনেক রক্ত ঝরেছে। আজিম উল্লাহ বাহারের দুই ভাই ছিলেন শিবির ক্যাডার। তাঁর এক ভাই হত্যা মামলারও আসামি। বিএনপির প্রার্থী বাহার শিবিরের কাঁধে ভর করেছেন। কিন্তু ফটকছড়িবাসী তা মেনে নেবে না।

ভান্ডারী বলেন, ‘প্রথম দফায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ফটিকছড়িতে রক্তের হোলিখেলা বন্ধ হয়। আমরা ফটিকছড়িকে সন্ত্রাসের জনপদ আর বানাতে চাই না।’

স্থানীয় আওয়ামী লীগে বিভক্তি সম্পর্কে ভান্ডারী বলেন, ‘আওয়ামী লীগে কোনো বিভক্তি নেই। দু–চারজন নেতা হইচই করছেন। আমাদের দু–একজন মন্ত্রী–এমপির কারণে এসব হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা পেছন থেকে উসকানি দিচ্ছেন, তাঁরা হয়তো বুঝতে পারছেন না যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে দেশের বারোটা বাজিয়ে দেবে বিএনপি–জামায়াত জোট।’

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী তথা স্বতন্ত্র প্রার্থী এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম সম্পর্কে ভান্ডারী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক এ বিষয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন। এ জন্য প্রচারণার প্রথম দিন আমি মাইজভান্ডারী দরগাহ শরীফ এবং সাবেক এমপি রফিকুল আনোয়ার ও জামায়াত–শিবিরের হাতে নিহত ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা–কর্মীর কবর জিয়ারতের মাধ্যমে কার্যক্রম সীমিত রেখেছি। কোনো প্রচারণায় অংশ নিইনি।’