স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করতে চান সানসিলা

গণসংযোগ করছেন শেরপুর-১ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী সানসিলা জেবরিন। গতকাল দুপুরে ধাতিয়াপাড়া গ্রামে।  প্রথম আলো
গণসংযোগ করছেন শেরপুর-১ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী সানসিলা জেবরিন। গতকাল দুপুরে ধাতিয়াপাড়া গ্রামে। প্রথম আলো

শেরপুর-১ (সদর) আসনে এবার বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন সানসিলা জেবরিন ওরফে প্রিয়াঙ্কা। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হুইপ আতিউর রহমানের বিরুদ্ধে লড়ছেন। প্রিয়াঙ্কা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর মেয়ে। ঋণ খেলাপের কারণে বাবা হযরতের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় রাজনীতিতে সম্পূর্ণ নবীন এই প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে দল।

২৫ বছর বয়সী সানসিলা পেশায় একজন চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি শেরপুর জেলার তিনটি আসনের মধ্যে বিএনপির একমাত্র নারী প্রার্থী।

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষ্যে সানসিলা এখন শেরপুর সদর উপজেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন আর ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদসংলগ্ন লছমনপুর ও চরমোচারিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগ ও পথসভা করেন তিনি। ধাতিয়াপাড়া গ্রামে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।

প্রথম আলোকে সানসিলা বলেন, ‘দীর্ঘ ২২ বছর পর ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন শেরপুরের মানুষ। নির্বাচনে বিজয়ী হলে একজন চিকিৎসক হিসেবে প্রথমেই আমি এ জেলার মানুষের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য এখানে একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করব।’

এ ছাড়া কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করার উদ্যোগ নেবেন সানসিলা। সেই সঙ্গে রেলপথ স্থাপন ও গ্রামাঞ্চলের কাঁচা সড়কগুলো পাকা করতে চান তিনি।

সানসিলার ভাষ্য, ‘এ আসনে ধানের শীষের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। তৃণমূলের প্রত্যেক মানুষ ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। নির্বাচন যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, তবে ধানের শীষের জয় হবেই।’