কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবেন মহাজোটের নতুন প্রার্থী

নীলফামারী-৩ আসনে গণসংযোগ করছেন মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির নেতা মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল।  ছবি: প্রথম আলো
নীলফামারী-৩ আসনে গণসংযোগ করছেন মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির নেতা মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল। ছবি: প্রথম আলো

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসন থেকে অংশ নেওয়া প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের প্রচারণায় সরব হয়ে উঠেছে এলাকা। এখান থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির নেতা (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল। তিনি এলাকায় নতুন মুখ।
গত বৃহস্পতিবার এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রানা মোহাম্মদ সোহেল এবার প্রথম নির্বাচন করছেন। এ কারণে তাঁর পরিচিতি এলাকায় কম। তবে তিনি একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত।
জলঢাকা উপজেলা সদরের কাজীরহাট গ্রামের সাকিনুজ্জামান (৩৫) বলেন, ‘রানা মোহাম্মদ সোহেল প্রথমবার আমাদের এ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। মানুষ হিসেবে তিনি অত্যন্ত ভালো, কিন্তু এলাকায় থাকেন না, এ কারণে তাঁর পরিচিতি কম।’
বালাগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম বালাগ্রামের ভ্যানচালক মো. জিয়া বলেন, ‘মুই (আমি) এলাও (এখনো) ওমাক (তাঁকে) দেখো নাই, মাইনসেরঠে শুনছি মানুষটা ভালো। ভালো–মন্দ দেখি ভোট দিবার নাইগবে।’
জলঢাকা পৌর এলাকার দুন্দিবাড়ি গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম (৫৫) বলেন, ‘এলাও ভোটের বাদে মোরঠে কাও আইসে নাই, শুনছি রানা দাঁড়াইছে, নামে শুনি, মানুষটাক এলাও দেখো নাই। তার সম্পর্কে খারাপ কিছু শুনি নাই।’
জলঢাকা পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ছমির উদ্দিন বলেন, ‘রানা মোহাম্মদ সোহেল এলাকায় নীরবে অনেক কাজ করে গেছেন। দুই বছর আগে আমাদের এলাকার একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য ১০ হাজার টাকা দিয়ে তিনি বলেছিলেন, এটি যাতে প্রচার করা না হয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের জলঢাকা উপজেলা কমিটির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল দেশের বাইরে দীর্ঘদিন ছিলেন। প্রায় আট থেকে নয় বছর ধরে এলাকায় আসা–যাওয়া করছেন। তাঁর সম্পর্কে খারাপ কিছু এখনো শুনি নাই। জলঢাকায় মূলত দুইটি পক্ষের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। একটি স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি, অন্যটি বিপক্ষের।’ আসাদুজ্জামান আরও বলেন, জলঢাকা আসনে তিনজন প্রার্থী থাকলেও নির্বাচনী মাঠে প্রচারকাজে দেখা যাচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী জামায়াতের কেন্দ্রীয় শুরার সদস্য আজিজুল ইসলাম এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী রানা মোহাম্মদ সোহেল ও তাঁর কর্মী-সমর্থকদের। আজিজুল ইসলাম ধানের শীষ প্রতীকে এবং সোহেল রানা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। এ আসনে অপর প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমজাদ হোসেন সরকার হাতপাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
এ বিষয়ে মহাজোটের প্রার্থী মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘আমি ১০ বছর আমেরিকায় থেকে ২০০৭ সালে দেশে ফিরি। ২০০৯ সাল থেকে আমি এলাকার মানুষের জন্য কাজ শুরু করি। এখন মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছা থেকে আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। বৃহৎ পরিসরে কিছু করতে চাইলে একটা স্থান প্রয়োজন এবং সে জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকতে হবে।’
নির্বাচিত হলে কী করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত অসাম্প্রদায়িক জলঢাকা গঠন, শিক্ষার প্রসার, যুবসমাজের দক্ষতা বাড়ানো এবং শিল্পায়নের মাধ্যমে এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কাজ করব।