বিএনপি প্রার্থীর ওপর 'লুঙ্গিবাহিনীর' হামলা

ঢাকা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদের নির্বাচনী গণসংযোগে লুঙ্গি পরিহিত কিছু যুবক হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর জুরাইন এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগের সময় এ হামলার ঘটনায় ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে বিএনপি অভিযোগ করেছে। হামলার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দায়ী করছে দলটি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। লিফলেট বিতরণ ও স্লোগান দিচ্ছিলেন তাঁর সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীরা। দুপুরের দিকে হঠাৎ করেই ধর ধর বলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হলে এগিয়ে দেখি কিছু যুবক বিএনপির কর্মীদের ওপর হামলা করছেন। হামলাকারীদের বেশির ভাগ লুঙ্গি পরা ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে গেন্ডারিয়া, জুরাইনের গুমটিঘর এলাকায় অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে প্রচারপত্র বিলি করছিলেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। এ সময় লুঙ্গি পরা কিছু যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতে গণসংযোগে হামলা করেন। পরে গেন্ডারিয়া থানা থেকে পুলিশ এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

সালাহ উদ্দিন আহমেদের ছেলে তানভীর আহমেদ বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময়ে হঠাৎ একদল লুঙ্গি পরা সন্ত্রাসী হামলা চালায়। হামলায় সালাহ উদ্দিন আহমেদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

সালাহ উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেন, শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডিএসসিসির ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী হাবিবুর রহমান হাবুর লোকজন এ হামলা চালিয়েছেন। এতে তাঁর সঙ্গে থাকা বিএনপির অন্তত ১০ জন কর্মী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা হলেন মো. সাগর দেওয়ান, ফারহান, আনোয়ার সরদার, মিজান ভান্ডারি, মামুন, বিল্লাল হোসেন, মো. রিপন মিয়া, মুন্না, মো. কামরুল হাসান ও মো. রাসেল।

অভিযোগের বিষয়ে কাজী হাবিবুর রহমান হাবুকে একাধিকবার ফোন করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

এর আগে দয়াগঞ্জ এলাকা থেকে সকালে হাজারখানেক নেতা-কর্মী নিয়ে দিনের প্রচারণা শুরু করেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। এরপর দোলাইরপাড় নতুন সড়ক, কাজীপাড়া, মীরহাজীরবাগ এলাকায় গণসংযোগ শেষে গুমটিঘর এলাকায় যান তিনি। এ সময় তার বহরে হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কাজী মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।