হামলা-মামলা-হয়রানিতে অনেক প্রার্থী প্রচার চালাতে পারছেন না: সুজন

সংবাদ সম্মেলনে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর। ছবি: আবদুস সালাম
সংবাদ সম্মেলনে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর। ছবি: আবদুস সালাম

হামলা, মামলা, বাধাদান ও হয়রানির কারণে এখনো অনেক প্রার্থী নির্বিঘ্নে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সংগঠনটি বলছে, ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও সহিংসতার কারণে ভোটারদের মধ্যে অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।

আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে সুজন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে সুস্থ প্রতিযোগিতার জন্য যে অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন, তা এখনো সৃষ্টি হয়নি।

সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনের জন্য তাঁরা সংলাপের আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। দেরিতে হলেও সংলাপ হয়। তবে সমঝোতা হয়নি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে বলেই তাঁদের ধারণা। কিন্তু হামলা, বাধাদান ও হয়রানির কারণে এখনো অনেক প্রার্থী নির্বিঘ্নে প্রচার চালাতে পারছেন না।

সুজন সম্পাদক বলেন, বাধা দেওয়ার কারণে কেউ কেউ এখনো প্রচারে নামতে পারেননি। ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও সহিংসতার কারণে তাঁরা অবাধে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কা ও সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি না হলে ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে যাবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ভোটাররা যদি অবাধে ভোটকেন্দ্রে না যেতে পারেন, তাহলে সেই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না। সে নির্বাচনকে নিরপেক্ষ নির্বাচন বলা যাবে না।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার ১ হাজার ৮৭১ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৬৬ জন নারী ৬৭টি নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৬৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। এসব প্রার্থীর মধ্যে স্বল্পশিক্ষিত বা এসএসসির কম আছে ২২ দশমিক ৮৫ শতাংশ (৪২১ জন)। মাধ্যমিকের গণ্ডি না পেরোনো প্রার্থীর হার ১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ (২৬৬ জন)। প্রার্থীদের মধ্যে ব্যবসায়ী রয়েছেন ৫২ দশমিক ১৭ শতাংশ বা ৯৬১ জন। আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মাত্র ৮ শতাংশ বা ৫৬ জন।

সুজন জানায়, প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান মামলা আছে ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশের (৩১৩ জন)। অতীতে মামলা ছিল ২২ দশমিক ৯১ শতাংশ বা ৪২২ জনের বিরুদ্ধে। বছরে কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে ১৩৬ জন প্রার্থীর। বছরে ৫০ লাখের বেশি আয় করেন ২২৩ জন। ৫ লাখ বা তার চেয়ে বেশি আয় ৯৫১ জনের।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সুজনের প্রধান সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।