সবাইকে ভোট দেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বক্তব্য দিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। পাশে রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী রাশিদা খানম। বঙ্গভবন, ঢাকা, ২৫ ডিসেম্বর। ছবি: বাসস
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বক্তব্য দিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। পাশে রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী রাশিদা খানম। বঙ্গভবন, ঢাকা, ২৫ ডিসেম্বর। ছবি: বাসস

দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য দলমত-নির্বিশেষে সব ধর্মের ও বর্ণের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

আজ মঙ্গলবার বড়দিন উপলক্ষে বঙ্গভবনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আর মাত্র চার দিন বাকি। আমি আশা করছি দলমত-নির্বিশেষে আপনারা সবাই নির্বাচনের দিন আপনাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।’

রাষ্ট্রপ্রধান আগামী দিনগুলোতে সুখী, সমৃদ্ধ ও আনন্দময় জীবন কামনা করে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজনের প্রতি শুভেচ্ছা জানান। এ দেশে দীর্ঘদিন ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে, উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।’

যিশুখ্রিষ্টকে মুক্তির দূত ও আলোকবর্তিকা অভিহিত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, যিশুখ্রিষ্ট বিশ্বে শান্তির বাণী প্রচার করেছেন এবং তাঁর দর্শন ছিল ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা ও সমবেদনাভিত্তিক একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, যিশুখ্রিষ্টের শিক্ষা ও ধারণা এই সমস্যা জর্জরিত বিশ্বে শান্তি, সম্প্রীতি ও বিভিন্ন জাতির মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

রাষ্ট্রপতি হামিদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুখী, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি ও তাঁর সহধর্মিণী রাশিদা খানম বঙ্গভবনে এ সংবর্ধনার আয়োজন করেন। এখানে আলোকসজ্জাসহ একটি ক্রিসমাস ট্রি স্থাপন করা হয়।

কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও, ডিপলোমেটিক কোরের ডিন আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও মিশনের প্রতিনিধি, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তি, ধর্মীয় নেতা এবং বিভিন্ন পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে শিল্পীরা সমবেত কণ্ঠে ক্রিসমাস ক্যারোল পরিবেশন করেন। পরে রাষ্ট্রপতি হামিদ খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে একটি ক্রিসমাস কেক কাটেন এবং তাঁদের সঙ্গে ছবি তোলেন।