জরুরি কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলবে

আজ ভোটের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত বেশ কিছু যানবাহন ও নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। তবে জরুরি সেবাকাজে নিয়োজিত ওষুধ–স্বাস্থ্য-চিকিৎসা পরিবহন, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, বিমানবন্দরগামী যাত্রী, সংবাদপত্র বহনকারী যান, সাংবাদিক, নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং কূটনীতিকদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।

যেসব যানবাহন চলতে বাধা নেই, সেগুলো হলো—১. জরুরি সেবাকাজে নিয়োজিত যানবাহন, ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা বা অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি এবং সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের বাহন। ২. বিমানবন্দরে যাওয়া, বিমানবন্দর থেকে যাত্রী বা আত্মীয়স্বজনসহ নিজ বাসস্থান যাওয়া-আসা অথবা আত্মীয়স্বজনের বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন (টিকিট বা অনুরূপ প্রমাণ সাপেক্ষে) এবং দূরপাল্লার যাত্রী বহনকারী অথবা দূরপাল্লার যাত্রী হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য যেকোনো পরিবহন চলবে। ৩. নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জন্য একটি, প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টের (যথাযথ নিয়োগপত্র বা পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে) জন্য একটি গাড়ি চলতে পারবে (রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমোদন ও স্টিকার প্রদর্শন সাপেক্ষে)। ৪. সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক অথবা জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল চলবে (রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমোদন সাপেক্ষে)। ৫. নির্বাচনকাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মোটরসাইকেল চলবে (রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমোদন সাপেক্ষে)।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনায় আরও বলা হয়, কূটনৈতিক, দূতাবাস বা হাইকমিশনে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের যাতায়াতে এবং দূতাবাস বা হাইকমিশনে কর্মরত স্থানীয় কর্মকর্তাদের কূটনৈতিক অঞ্চলের বাইরে যাতায়াতের জন্য সীমিতসংখ্যক গাড়ি চলবে।

ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, গতকাল শনিবার মধ্যরাত থেকে আজ রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত সারা দেশে বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, ট্যাক্সিক্যাব, জিপ, টেম্পো, বেবি ট্যাক্সি, অটোরিকশা, ইজিবাইক, ব্যক্তিগত গাড়ি, স্থানীয় পর্যায়ে যন্ত্রচালিত যানবাহন এবং লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত নৌযান, স্পিডবোট চলবে না। মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ১ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত।