সুবর্ণচরের সেই নারীকে সান্ত্বনা দিয়ে কাঁদলেন ফখরুল

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের শিকার নারীকে সান্ত্বনা ও অভয় দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের শিকার নারীকে সান্ত্বনা ও অভয় দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের শিকার নারীকে সান্ত্বনা ও অভয় দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তাঁকে দেখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বোন, আমরা তোমার পাশে আছি। তোমার কোনো ভয় নেই।’ এ সময় আবেগাপ্লুত বিএনপির মহাসচিব ওই নারীর মাথায় হাত বুলিয়ে দেন।


আজ শনিবার দুপুরে বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে দেখতে যান। ঢাকা থেকে সকাল সাতটার দিকে তাঁরা নোয়াখালীর উদ্দেশে রওনা হন। ওই নারীকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে ফখরুল বলেন, ‘এই নির্মমতার অবশ্যই একদিন বিচার হবে। আল্লাহ বিচার করবেন।’

মাথায় হাত বোলানোর সময় কেঁদে ফেলেন মির্জা ফখরুল। তাঁর সঙ্গে থাকা নেতাদের অনেকের চোখ ভিজে যায়। ওই নারীর স্বামীও বিএনপি মহাসচিবকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকেন। এরপর জেএসডির আ স ম আবদুর রব ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী মাথায় হাত বুলিয়ে ওই নারীকে সান্ত্বনা দেন। পরে বিএনপির মহাসচিব, আ স ম আবদুর রব, কাদের সিদ্দিকী ওই নারীকে আর্থিক সহায়তা দেন। তাঁরা ওই নারীর স্বামী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনের দিন নারীকে গণধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন এবং পরবর্তী সময়ে সহিংসতার সৃষ্টি যারা করেছে, তাতে অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন, পঙ্গু হয়েছেন। এমনকি আমার বোন, নোয়াখালীতে তিনি ধর্ষণের শিকার পর্যন্ত হয়েছেন, তিনি চার সন্তানের মা। আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি। তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বিচার দিচ্ছি জনগণের কাছে।’

নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। এর মধ্য দিয়ে জনগণের কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, তাই জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সে জন্য এখন তারা গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।

হাসপাতালে মির্জা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে আরও ছিলেন বিএনপির দুই ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ও বরকত উল্লা বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, জেলা বিএনপির সভাপতি এ জেড এম গোলাম হায়দার, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান প্রমুখ।