খালেদা জিয়ার চিকিৎসার অধিকার কেড়েছে সরকার : রিজভী

রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দলটির দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার নির্ধারিত সময়ের এক সপ্তাহ পর গতকাল মঙ্গলবার নিকটাত্মীয়রা দেখা করার অনুমতি পান। এখনো খালেদা জিয়া অসুস্থ।

আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

রিজভী অভিযোগ করেন, সম্পূর্ণ চিকিৎসা শেষ না হতেই খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে কয়েক দিন পরই কারাগারে নেওয়া হয়েছে। তাঁর প্রয়োজনীয় সুচিকিৎসা পাওয়ার অধিকারটুকুও কেড়ে নিয়েছে সরকার। এভাবেই মানসিক নিপীড়নের সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছে সরকার।

 রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে নির্যাতন করে প্রতিহিংসার যেন শেষ হচ্ছে না। তাঁর জীবন নিয়ে এক গভীর চক্রান্তে মেতে আছে সরকার।’

আজকের সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, একাদশ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর এখন সারা দেশে ব্যাপক নির্বাচনী সহিংসতা চালাচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এ দেশে গণতন্ত্রের ভিত সম্পূর্ণভাবে ভেঙে গেছে, নিষ্ঠুর দমনে গণতন্ত্র এখন পীড়িত।

রিজভী বলেন, ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার অপরাধে গ্রামের মানুষজনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব নিশ্চিত করতে একতরফা নির্বাচনের জন্য প্রচারমাধ্যমগুলোকে সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে, যাতে সত্য ঘটনা প্রকাশ হতে না পারে।

প্রতিপক্ষকে হামলা-মামলা দেওয়া অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, একদিকে হামলা-মামলা ও আটক করা, অন্যদিকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার বেগবান করা হয়েছে। বিরামহীন সন্ত্রাসের প্রসারে দেশজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

দুদকের মাধ্যমে বিএনপির নেতাদের হয়রানির অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, দুদককে দিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে আবারও মামলা দায়ের করেছে দুদক। গত ১০ বছরে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা লাখ লাখ কোটি টাকা লুট করে নিলেও, সমস্ত ব্যাংক লুট হয়ে গেলেও দুদক চোখ বন্ধ করে বসে আছে। গণমাধ্যমে মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে সাগরচুরির খবর প্রকাশ করলেও খোদ সংসদে দাঁড়িয়ে সরকারের মন্ত্রীরা সাগরচুরির কথা বললেও দুদক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

গণমাধ্যমের ওপর নজরদারির কথা তুলে রিজভী বলেন, নিপীড়ন-অত্যাচারের সংবাদও গণমাধ্যম যাতে প্রকাশ না করে, সে জন্য ভয়ংকর সেন্সরশিপ চালানো হচ্ছে।