বিসিএসে নিয়োগে কত অপেক্ষা

>
প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

* এই চারটি বিসিএস শেষ হলে ১০ হাজার কর্মকর্তা নিয়োগ হবে।
* পিএসসি চূড়ান্ত সুপারিশ করার পর পুলিশ যাচাই এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শেষ করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।

একসঙ্গে চলছে চারটি বিসিএসের কার্যক্রম। এর মধ্যে ৩৭তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের সাত মাস পার হলেও নিয়োগ হচ্ছে না। এই চারটি বিসিএসের কার্যক্রম শেষ হলে প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা নিয়োগ পাবেন।
চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, একেকটি বিসিএসে দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়ায় তাঁরা দুশ্চিন্তায় থাকেন। তাঁরা চান নিয়োগ কার্যক্রম দ্রুত করা হোক। আর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাস্তব কারণেই দেরি হয়। আবার পিএসসি চূড়ান্ত সুপারিশ করার পর পুলিশ যাচাই এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শেষ করে নিয়োগ দিতেও দীর্ঘ সময় লেগে যায়।
চূড়ান্ত সুপারিশ করা ৩৭তম বিসিএস ছাড়াও বর্তমানে ৩৮তম, ৩৯তম ও ৪০তম বিসিএসের কার্যক্রম চলছে।
পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, অনেকগুলো বিসিএসের কার্যক্রম একসঙ্গে চললেও এখন নিয়োগ পেতে আগের চেয়ে সময় কম লাগছে।

প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষায় ৩৭তম বিসিএস উত্তীর্ণরা
গত বছরের ১২ জুন ৩৭তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে ১ হাজার ৩১৪ জনকে বিভিন্ন ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। আর ৩ হাজার ৪৫৪ জনকে নন–ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষ নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের সব পুলিশি যাচাই প্রতিবেদন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন তাঁদের হাতে পৌঁছায়নি। সব প্রতিবেদন পেতে আরও মাসখানেক সময় লাগতে পারে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেন, ৩৭তম বিসিএসের নিয়ে কাজ চলছে। তবে কবে প্রজ্ঞাপন হবে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩৭তম বিসিএসে কৃষি ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়া এক প্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, কবে নিয়োগ হবে, তা নিয়ে স্বজনেরাও প্রশ্ন করেন। উত্তর দিতে পারেন না। এ নিয়ে হতাশায় আছেন।

৩৮তম বিসিএসের চিত্র
গত বছরের ১৩ আগস্ট ৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আগামী এপ্রিলের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে আশা করেছেন পিএসসির চেয়ারম্যান। ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৮ জন প্রার্থী আবেদন করেন। ৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে ২ হাজার ২৪ জন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।

৩৯তম বিসিএস
৩৯তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে ৪ হাজার ৫৪২ জন সহকারী সার্জন ও ২৫০ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন নিয়োগ করা হবে। গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর এই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এখন মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। শেষ দফার মৌখিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ সোমবার থেকে।

৪০তম বিসিএস
৪০তম বিসিএসে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন ৪ লাখ ১২ হাজার ৫৩২ জন। বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার দিক দিয়ে এটি রেকর্ড। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এই বিসিএসে মোট ১ হাজার ৯০৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডার পদে নিয়োগ করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান একরাম আহমেদ বলেন, গত ৮-১০ বছরে পিএসসি যতটা গতিশীল হয়েছে, তা ধরে রাখতে পারলে আরও গতি আনা সম্ভব। প্রশ্নপত্র ছাপায় অনেক সময় চলে যায়। এটি কমাতে ডিজিটাল প্রশ্নব্যাংক করা যেতে পারে।