শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ

>পরিবারের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যায়ের শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

সিলেট নগরের কাজলশাহ এলাকার ভাড়া বাসা থেকে গতকাল সোমবার বিকেলে তাইফুর রহমান নামে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

তাইফুর নরসিংদীর ওহিদুর রহমানের ছেলে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগে স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন তিনি। উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যায়ের শিকার হয়ে তাইফুর আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।

পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলেছে, পরিবারের সদস্যরা তাইফুরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে না পেয়ে পরিচিত একজনকে খবর নিতে তাঁর বাসায় পাঠান। তিনি তাইফুরের বাসার দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান। কয়েকবার কড়া নেড়ে সাড়া না পেয়ে তিনি পুলিশে খবর দেন। কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাইফুরের লাশ উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মো. আকবর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘তাইফুর আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ও অধিকতর তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।’

তাইফুরের মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে হাসপাতালে ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক মো. রাশেদ তালুকদার, জিইবি বিভাগের প্রধান শামসুল হক প্রধানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা এবং তাইফুরের সহপাঠীরা।

এদিকে তাইফুরের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শান্তা তাওহিদা ফেসবুকে গতকাল লিখেছেন, ‘...অনার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়া ছেলেটাকে বিভিন্ন ইস্যু বানায়ে মাস্টারসে সুপারভাইজার দেয় নাই। বিভিন্ন কোর্সে নম্বর কম দিয়েছে! আমার ভাইটা টিচার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল, এটাই তার অপরাধ...।’

জানতে চাইলে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।’

জিইবি বিভাগের প্রধান শামসুল হক প্রধান বলেন, ‘আমি দুই মাস আগে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছি। তবে এ রকম কিছু শুনিনি।’