৯৯৯-এ ফোন, তিন ঘণ্টার মধ্যে দুই অপহরণকারী গ্রেপ্তার

সরকারের টোল ফ্রি ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে তথ্য দেওয়ার তিন ঘণ্টার মাথায় রাজধানীতে অপহরণের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধানমন্ডি থানা-পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত ওই দুজনের বিরুদ্ধে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি হলেন তৌফিকুর রহমান (২৫) ও শরিফুল ইসলাম (২৬)। তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম (৪০)। শহিদুলের শ্যালক গোলাম সরওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর দুলাভাই কুমিল্লা থাকেন ও ব্যবসা করেন। তিনি লিভারের জটিলতায় ভুগছেন। শহিদুল গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইনজেকশন নেওয়ার জন্য ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। হাসপাতালের ছয়তলা থেকেই অপহরণকারী তাঁকে নিচে নিয়ে আসেন। পরে কালো মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যান।

আদালতকে দেওয়া প্রতিবেদনে পুলিশ বলেছে, ভুক্তভোগী শহিদুলের কাছে থাকা ৪৫ হাজার টাকা ও ৫০ হাজার টাকার একটি চেক কেড়ে নেন অপহরণকারীরা। পরে আসামিরাই শহিদুলের মুঠোফোন থেকে তাঁর শ্যালক গোলাম সরওয়ারকে ফোন করে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চান। টাকা না দিলে শহিদুলকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।

গোলাম সরওয়ার জানান, অপহরণকারীরা মুক্তিপণ চাওয়ার পর তিনি ‘৯৯৯’-এ ফোন করে পুরো ঘটনা পুলিশকে জানান। ফোন করার ১০ মিনিটের মাথায় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস সবুর খান প্রথম আলোকে বলেন, ফোন পেয়ে তাঁরা ভুক্তভোগী শহিদুলকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁকে উদ্ধার করেন। এ সময় অপহরণকারী চক্রের সদস্য তৌফিকুর ও শরিফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এই দুই আসামিকে পাঁচ দিন রিমান্ডে চেয়ে আদালতে করা আবেদনে বলা হয়, মামলার ঘটনার পুরো রহস্য উদ্‌ঘাটন, পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার এবং ভুক্তভোগীর টাকা উদ্ধারের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশ কর্মকর্তা আবদুস সবুর খান জানান, আসামিরা সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্র। অপর আসামিদের শিগগিরই গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।