আসামির সঙ্গে 'গোপন' যোগাযোগ, দুদক পরিচালক বরখাস্ত

দুদক
দুদক

আসামির সঙ্গে গোপন যোগাযোগ এবং অনুসন্ধানের তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক এ কে এম ফজলুল হককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি সম্প্রতি পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান।

আজ মঙ্গলবার তাঁকে বরখাস্ত করা হয় বলে সংস্থার উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে জানিয়েছেন। তিনি জানান, ফজলুল হক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত -২ এ কর্মরত ছিলেন।

দুদক সূত্র জানায়, ফজলুল হক বন বিভাগের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সম্পদের অনুসন্ধানে দীর্ঘ ১৩ মাস সময় নেন। তিনি অনুসন্ধান সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথির কাগজপত্র বেআইনিভাবে এক কর্মচারীর মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হাতে হাতে দিয়েছিলেন। গত ১৪ জানুয়ারি দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলেন।

দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, 'দুদকের অভ্যন্তরীণ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। প্রত্যেক কর্মচারী-কর্মকর্তাকে অপরাধের দায় বহন করতে হবে। প্রত্যেকের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি আছে। তাই সৎ ও নীতি নিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।'

এ প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, খারাপ কাজ করলে বরখাস্ত হতেই হবে। এই কর্মকর্তা সদ্য পদোন্নতি পেয়েছে, তারপরও কোনো ক্ষমা নেই। অন্যায় যারাই করবে, তারা আমাদের নজরে আসবে, তাদের বহিষ্কার করা হবে।

দুদকের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কোনো তালিকা করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কোনো লিস্ট করছি না। যাদের চলমান কাজের মধ্যে গলদ পাওয়া যাবে, তাদের বহিষ্কার করা হবে।

দুদক জানিয়েছে, গত এক বছরে বিভিন্ন অভিযোগে দুদকের অন্তত ছয়জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।