শ্রীমঙ্গলে এক রাতে পাঁচ সরকারি কার্যালয়ে চুরি!

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এক রাতে পাঁচটি সরকারি কার্যালয়ে ‘চোরদের’ হানা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার; মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের; সমাজসেবা কর্মকর্তার; পরিসংখ্যান কর্মকর্তার ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়।

সব কটি দপ্তরই উপজেলা পরিষদে অবস্থিত। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার দিবাগত রাত ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে ‘চোরদের’ হানা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। চোর দরজা-জানালা ভেঙে কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে। কার্যালয়গুলোর একটি থেকে লক্ষাধিক টাকা চুরি হয় বলে জানা যায়।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের বারান্দার জানালার গ্রিল ভাঙা। দরজা, আলমারি, টেবিলের ড্রয়ারও ভাঙা। এর পাশাপাশি কাগজপত্র অগোছালোভাবে পড়ে আছে উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের কার্যালয়ের। একই অবস্থা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তার কার্যালয় ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের।

উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষক বলেন, এই অধিদপ্তরে ভিজিডি সঞ্চয়ের লক্ষাধিক টাকা ছিল। চোরেরা টাকাগুলো নিয়ে গেছে। তবে ঠিক কত টাকা নিয়েছে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না।

অন্য চারটি কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের কার্যালয় থেকে কোনো কিছু খোয়া যায়নি। উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা রাহুল ঘোষ বলেন, তাঁর কার্যালয়ের টেবিলের ড্রয়ারে ল্যাপটপ-ঘড়ি ছিল। চোরেরা ল্যাপটপ বের করে টেবিলের ওপর রেখে দিয়েছে, নেয়নি। তাঁর ধারণা, ‘চোরেদের’ মূল টার্গেট ছিল টাকা-পয়সা। এ জন্যই হয়তো টাকা ছাড়া আর কিছু নিয়ে যায়নি।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আমরা চোরদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।’ শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এই বিষয়ে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।’