১২ লাখ টাকার দুর্নীতি ঢাকতে লাখ টাকা ঘুষ দিতে গিয়ে ধরা

দুদক
দুদক

বান্দরবানের লামায় কর্মরত থাকা অবস্থায় ১২ লাখ টাকা কাজের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল নীলফামারীর আনসার-ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট মো. আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগের তদন্ত করছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে দুদক কর্মকর্তাকে ঘুষ সেধেছিলেন আশিকুর। এই অপরাধে গ্রেপ্তার হয়ে তাঁর ঠিকানা এখন থানায়।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে আগ্রাবাদ দুদক কার্যালয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আশিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মো. আশিকুর রহমান বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা। গ্রেপ্তার হওয়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত তিনি নীলফামারীর আনসার-ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট ছিলেন। বান্দরবানে ১৭ নম্বর আনসার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক থাকাকালে তাঁর বিরুদ্ধে একটি দরপত্রের অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এর অনুসন্ধান করছিলেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক জাফর সাদেক শিবলী। আজ সকালে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২–এর জাফর সাদেকের দপ্তর থেকেই আশিকুর আসেন।

দুদক সূত্র জানায়, আজ আগ্রাবাদ কার্যালয়ে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা এবং উপসহকারী পরিচালক জাফর সাদেক শিবলীকে এক লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। বেলা তিনটার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগমের উপস্থিতিতে তাঁকে গ্রেপ্তার এবং ঘুষের টাকা জব্দ করা হয়। এরপর বিকেলেই তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলা করা হয়।

দুদক কর্মকর্তা জাফর সাদেক শিবলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আশিকুর রহমান এক লাখ টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাই। এরপর একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ঘুষের এক লাখ টাকাসহ আশিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করি।’

জাফর সিদ্দিক আরও বলেন, বান্দরবানে আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ১২ লাখ টাকা কাজের দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলছে। এর মধ্যে তিনি ঘুষ দিতে এসে আরেকটি কাণ্ড ঘটালেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।