অভয়নগরে ছুরিকাঘাতে যুবলীগ নেতা নিহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

যশোরের অভয়নগরে ছুরিকাঘাতে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মশরহাটী গ্রামের ভৈরব নদের ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, এক চানাচুর বিক্রেতা ওই যুবলীগ নেতাকে ছুরিকাঘাত করেন। এলাকাবাসী ওই চানাচুর বিক্রেতাকে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

নিহত ব্যক্তির নাম জাহিদুল ইসলাম খাঁ (৩৫)। তিনি মশরহাটী গ্রামের গ্রামের বাসিন্দা ও নওয়াপাড়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য ছিলেন বলে জানিয়েছেন পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক মো. হাসান গাজী।

অভিযুক্ত চানাচুর বিক্রেতার নাম ইমরান শেখ (২৫)। তিনি নড়াইলের বাহির গ্রামের ইসমাইল শেখের ছেলে। ঘটনার পর এলাকাবাসী তাঁকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ইমরান শেখকে চিকিৎসার জন্য অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত জাহিদুল ইসলামের বড় ভাই ওহিদুল ইসলাম খাঁ বলেন, দুপুরে মশরহাটী এলাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স জয়েন্ট ট্রেডিংয়ের ভৈরব নদের ঘাটে জাহিদুল কাজ করছিলেন। কাজের ফাঁকে তিনি বেলা দেড়টার দিকে এক চানাচুর বিক্রেতার কাছ থেকে চানাচুর কেনেন। টাকা পরিশোধের সময় চানাচুরের দাম নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে চানাচুর বিক্রেতা তাঁর কাছে থাকা ছুরি দিয়ে জাহিদুলের বুকে আঘাত করেন। দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কিন্তু পথেই তিনি মারা যান।

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, চানাচুরের দামকে কেন্দ্র করে জাহিদুল ইসলাম খাঁ ও ইমরান শেখের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জাহিদুল চানাচুর বিক্রেতা ইমরানকে মারধর করেন। এ সময় ইমরান তাঁর কাছে থাকা ছুরি দিয়ে জাহিদুলের বুকে আঘাত করেন। এতে তিনি মারা যান।

ওসি আরও বলেন, বিকেলে নিহতের ভাই মামলা করেছেন। ওই মামলায় ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আহত থাকায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। জাহিদুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।