বুড়িগঙ্গার তীরে আরও ১৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানাধীন নবাবচর মৌজার দক্ষিণ মুন্সিহাটি এলাকায় বুড়িগঙ্গার তীরে অভিযান চালিয়ে ১৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লুটিএ)। আজ বুধবার বিআইডব্লুটিএর কর্মকর্তারা এসব উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

বিআইডব্লুটিএর কর্মকর্তারা কামরাঙ্গীরচরের মুন্সিহাটি এলাকায় সিরাজউদ্দিন মালিকের একটি প্লাস্টিক কারখানার দ্বিতল ভবনের বর্ধিতাংশ অপসারণের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন। উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিআইডব্লুটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান। এ ছাড়া উচ্ছেদ অভিযানকারীরা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কামরাঙ্গীরচর থানার নবাবচর মৌজায় ৩টি বহুতল পাকা ভবন, ৪৫টি আধা পাকা ভবন এবং ৯৭টি ছোট–বড় টিনশেডের ছাপরা ও টংঘর উচ্ছেদ করেন।

গতকাল বুড়িগঙ্গার তীর দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ১৬৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বিআইডব্লুটিএ

মুন্সিহাটি এলাকার সিরাজউদ্দিন মালিকের মালিকানাধীন দ্বিতীয় তলা ভবনের বর্ধিতাংশ উচ্ছেদ করতে গেলে প্লাস্টিক ব্যবসায়ী সিরাজউদ্দিন মালিক সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৯৬ সালে নবাবচর মৌজায় ৪৮ কাঠা জমি কিনে সেখানে দুটি পাকা ভবন নির্মাণ করেন তিনি। বিআইডব্লুটিএর লোকজন তাঁদের ভবনটি উচ্ছেদের বিষয়ে কোনো নোটিশ দেননি। তিনি দাবি করেন, তিনি নদীর জায়গা দখল করেননি। উচ্ছেদ অভিযানকারী দল আজ তাঁর ক্রয়কৃত সম্পদের প্রায় ১০০ ফুট জায়গা নদীর জায়গা দাবি করে উচ্ছেদ করেছেন।

উচ্ছেদ অভিযান বিষয়ে বিআইডব্লুটিএর পরিচালক (বন্দর) শফিকুল হক প্রথম আলোকে বলেন, নদীর জায়গা কাউকে দখল করতে দেওয়া যাবে না। দখলকারী যতই শক্তিশালী হোক, তাঁদের কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। নদীর জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলবে।

বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে শফিকুল হক বলেন, অবৈধ দখলদারদের নোটিশ দেওয়া হয়নি, এ অভিযোগ ঠিক নয়। নদীর তীরে অবৈধ দখলদারদের তাঁদের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বরং তাঁরা সেটিতে কর্ণপাত করেননি। কারও ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গায় স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে না। নদীর জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

বিআইডব্লুটিএর চেয়ারম্যান এম মোজাম্মেল হক, ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফউদ্দিন, উপপরিচালক মিজানুর রহমান, সহকারী পরিচালক নুর হোসেনসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন।