বইমেলায় থাকবে কঠোর নিরাপত্তা, নজরদারি

অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নজরদারি রাখা হচ্ছে। বইমেলাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। আজ বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখতে এসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব কথা বলেন।

আজ বেলা ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দীর উদ্যানে মেলার নিরাপত্তাপ্রস্তুতি দেখতে আসেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি মেলার সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করেন। ডিএমপির কন্ট্রোল রুমেও যান।

পরে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলা একাডেমির সহায়তায় সুদৃঢ় নিরাপত্তাবলয় তৈরি করেছি। যা যা করণীয়, তা সকলের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সুচারুভাবে দেখা হবে। মেলার প্রতিটি ইঞ্চি সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটর করা হবে। তিনি বলেন, মেলার বাংলা একাডেমি অংশে দুটি প্রবেশপথ থাকবে, বের হওয়ার জন্য থাকবে একটি পথ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার যে অংশ আছে, সেখানে তিনটি প্রবেশপথ ও তিনটি বের হওয়ার পথ থাকবে। আর্চওয়ে মেটাল ডিরেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হবে। প্রবেশপথে নারী ও পুরুষদের আলাদাভাবে তল্লাশি করা হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘জঙ্গিদের সংঘবদ্ধ আক্রমণের সম্ভাবনা নেই। তবে বিচ্ছিন্নভাবে দু-একজন অপতৎপরতা চালাতে পারে। আমাদের উদ্যমী অফিসার, সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন এবং অহর্নিশ কাজ করে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কোনো হুমকি নেই। লেখক, ব্লগারদের জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে। তারপরও যদি কেউ পুলিশকে জানান, তাহলে অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

র‌্যাবের পক্ষ থেকে র‌্যাব-৩–এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান মেলার নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখতে আসেন। মেলার সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারিও রয়েছে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে। অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার জন্য তাঁরা সজাগ রয়েছেন।

আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এবারের মেলার নিরাপত্তায় র‌্যাব ও পুলিশের সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী কাজ করবে।