ছাদ ধসে পড়ার ঘটনায় তিন প্রকৌশলী সাময়িক বরখাস্ত

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদ ধসে পড়ে। ১৭ জানুয়ারি। ছবি: প্রথম আলো
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদ ধসে পড়ে। ১৭ জানুয়ারি। ছবি: প্রথম আলো

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদ ধসে এক শ্রমিক নিহত ও পাঁচ শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনায় নির্বাহী প্রকৌশলীসহ স্থানীয় গণপূর্ত কার্যালয়ের তিন প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কুষ্টিয়ার গণপূর্ত কার্যালয় সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

বরখাস্ত হওয়া প্রকৌশলীরা হলেন গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল হান্নান, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল মোতালেব ও উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুর রশিদ।

কুষ্টিয়ার গণপূর্ত কার্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই তিন প্রকৌশলীকে বরখাস্তের বিষয়টি আজ জানাজানি হয়। তাঁদের স্থলে অন্য জেলা থেকে কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা জানান, নির্বাহী প্রকৌশলীর স্থলে যশোর গণপূর্ত কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলীকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মাগুরার গণপূর্ত কার্যালয়ের উপবিভাগীয় প্রকৌশলীকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গত ১৬ জানুয়ারি কুষ্টিয়ার মোল্লা তেঘরিয়া হাউজিং এলাকায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদ ধসে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট উদ্ধার অভিযান চালায়।

ওই ঘটনায় নিহত শ্রমিকের নাম বজলুর রহমান (৫০)। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চড়াইকোল এলাকায়। এই ঘটনায় জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজন শ্রমিক প্রথম আলোকে বলেছিলেন, হাসপাতালের নির্মাণাধীন একটি ভবনের ৫০ ফুট বাই ৩০ ফুট ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। ছাদটি মাটি থেকে প্রায় ৩০ ফুট উচ্চতায়। ঢালাইয়ের নিচের অংশ বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঠেকনা দেওয়া ছিল।

কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক ফিরোজ কুতুবী প্রথম আলোকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, বাঁশের খুঁটি দুর্বল ছিল। এ কারণে ভবনের ওই অংশ ধসে পড়েছে।