রোহিঙ্গা ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্ত প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোনেমের সঙ্গে তাঁর অফিসকক্ষে বৈঠক করেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার বিশেষ দূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি। ছবি: পিআইডি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোনেমের সঙ্গে তাঁর অফিসকক্ষে বৈঠক করেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার বিশেষ দূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি। ছবি: পিআইডি

মিয়ানমার থেকে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশের সীমান্ত প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোনেম।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ বুধবার জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও জাতিসংঘ মহিসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনারের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পর্যাপ্ত রোহিঙ্গার জন্য সীমান্ত খোলা রেখেছিলাম। নতুন করে আর নিতে চাই না। তাই আমাদের সীমান্ত প্রায় বন্ধ করে দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য অন্য দেশগুলোর সীমান্ত খুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা ভালো।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি (জোলি) বিশ্বের ‘অন্যতম কণ্ঠস্বর’। তাঁকে (জোলি) বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন চায়। বাংলাদেশ চায়, রোহিঙ্গারা নিরাপদে তাদের নিজের জায়গা রাখাইনে চলে যাক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খবর পাওয়া যাচ্ছে মিয়ানমারে নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়েছে। সেখান থেকে রোহিঙ্গা মুসলিম ছাড়াও বৌদ্ধ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন প্রাণভয়ে পালাচ্ছেন। এরা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে।