শিক্ষা খাতের ভুলভ্রান্তি তুলে ধরতে সাংবাদিকদের প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বান

বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (বিইআরএফ) অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি। ছবি: প্রথম আলো
বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (বিইআরএফ) অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি। ছবি: প্রথম আলো

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, সাংবাদিকেরা সরকার এবং জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করেন। তবে তাঁরা যেসব তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেন, সেগুলো যেন বস্তুনিষ্ঠ হয়। রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মিলনায়তনে শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (বিইআরএফ) অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষা খাতের ভুলভ্রান্তি তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে দীপু মনি বলেছেন, ‘পরস্পরের দোষারোপের মধ্যে আমরা যেন আটকে না যাই। আমরা যেন আমাদের আসল উদ্দেশ্যটা হারিয়ে না ফেলি। আমার মন্ত্রণালয়ের ভুলভ্রান্তি আমি সাংবাদিকদের কাছে অবশ্যই চাইব এবং বললে তা শুধরে নেওয়া সহজ হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সব তথ্য মানুষের কাছে দেওয়ার জন্য না-ও হতে পারে। আপনি তথ্য পেলেন কিন্তু সেই তথ্য যদি ক্ষতিকর, বিভ্রান্তিকর হয়, তাহলে সেসব তথ্য লাভের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি করতে পারে।’

দীপু মনি বলেন, ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতেই পারে। শিক্ষা বিশাল খাত, এখানে বিপুল পরীক্ষার্থী ও শিক্ষার্থী, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই কর্মযজ্ঞের মধ্যে নানা রকমের দুষ্টচক্রের সম্পৃক্ততা আছে, টাকার লেনদেনসহ অনেক কিছুই জড়িয়ে আছে এর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কোনো কিছুর মান উন্নয়ন রাতারাতি হয় না, আর সেটি একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সেই ধৈর্যটি কিন্তু আমাদের থাকতে হবে। আমরা এই খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখাতে পারব।’

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সবার দায়িত্ব আছে। সাংবাদিকের দায়িত্ব আছে সত্য প্রকাশ করা, প্রশাসনের দায়িত্ব হচ্ছে সেটা যাচাই করে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ভবিষ্যৎ নাগরিক গড়ে তোলার মন্ত্রণালয় বলে আখ্যা দেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ফোরামের সভাপতি মোস্তফা মল্লিক সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং স্বাগত বক্তব্য দেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্বাস।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী মুঠোফোনে যুক্ত হয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। অভিষেক অনুষ্ঠানে শিক্ষা নিয়ে দীর্ঘ সময় কাজ করা এবং এই খাতে অবদান রাখা কয়েকজন সাংবাদিককে সম্মাননা জানানো হয়। তাঁরা হলেন আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমান, মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক রাশেদ আহমেদ, প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদক শরিফুজ্জামান, এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক মানস ঘোষ, নিউজ টুয়েন্টিফোরের বার্তা সম্পাদক বোরহানুল হক সম্রাট ও এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধি ফয়জুল্লাহ মাহমুদ।