বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অমর হয়ে থাকবেন বঙ্গবন্ধু

‘বাংলা সাহিত্য ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। কলকাতা, ১০ ফেব্রুয়ারি। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
‘বাংলা সাহিত্য ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। কলকাতা, ১০ ফেব্রুয়ারি। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

কলকাতার ঐতিহ্যবাহী আন্তর্জাতিক বইমেলায় আজ ১০ ফেব্রুয়ারি রোববার উদ্‌যাপিত হলো বাংলাদেশ দিবস। এই দিনকে ঘিরে আজ সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় ‘বাংলা সাহিত্য ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সেমিনারের। এতে যোগ দেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রথিতযশা কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও শিল্পীরা।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক আবুল মোমেন। প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী। আর মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন কলকাতার বিশিষ্ট সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, কবি নজরুল ইস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া, সাংসদ নির্মল কান্তি দাস ও বাংলাদেশের লেখক সুভাষ সিংহ রায়।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে রয়েছে আমাদের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। এ সম্পর্ক চিরদিনের। এ সম্পর্ক মুছে ফেলার সম্পর্ক নয়; এ সম্পর্ক আমাদের ভালোবাসার, হৃদয়ের বন্ধন অটুট রাখার সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধু আমাদের বাঙালিদের জন্য গড়েছেন বাংলাদেশ। তাই যত দিন বাংলা ভাষা থাকবে, বাংলা সাহিত্য থাকবে, তত দিন বঙ্গবন্ধু আমাদের ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবেন।’

কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন নির্মিত হয় ঢাকার রোজ গার্ডেনের আদলে। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন নির্মিত হয় ঢাকার রোজ গার্ডেনের আদলে। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভাষণে অন্য আলোচকেরাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে। তাঁরা বলেন, বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। তাই তো বাংলাদেশের সব মানুষের চেতনায় আজও জেগে আছেন বঙ্গবন্ধু।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, বাংলাদেশের সাংসদ অসীম কুমার উকিল, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব বেগম আখতারী মমতাজ। সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
প্রতিবারের মতো এবারও বইমেলায় যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রকাশকেরা। এসেছে বাংলাদেশের ৪৫টি প্রকাশনা সংস্থা। এর মধ্যে ৮টি সরকারি প্রকাশনা সংস্থা। এবার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন নির্মিত হয়েছে ঢাকার রোজ গার্ডেনের আদলে। আগামীকাল সোমবার শেষ হচ্ছে কলকাতার ৪৩তম আন্তর্জাতিক বইমেলা।
এবারের বইমেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও যোগ দিয়েছে ব্রিটেন, আমেরিকা, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, জাপান, চীন, ইরান, কোস্টারিকা, স্পেন, স্কটল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনাসহ বিশ্বের ২১টি দেশ ও দেশের প্রকাশকেরা। যোগ দিয়েছেন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের প্রকাশকেরাও। এবার বইমেলায় সব মিলিয়ে ৮০০ স্টল হয়েছে। এর মধ্যে ২০০টি লিটল ম্যাগাজিনের স্টল।

কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন হয় গত ৩১ জানুয়ারি। এদিন বিকেলে কলকাতার সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে ঘণ্টা বাজিয়ে বইমেলার উদ্বোধন করেন গুয়াতেমালার প্রখ্যাত সাহিত্যিক ইউডা মোরেস। এবারের বইমেলার থিম কান্ট্রি এই গুয়াতেমালা। এই বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।