দুধ-দইয়ে ভেজাল: জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ

দুধসহ খাদ্যে ভেজাল মেশানো মারাত্মক দুর্নীতি বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দুধ-দইয়ে অ্যান্টিবায়োটিক, অণুজীব, কীটনাশক ও সিসা পাওয়ার ঘটনা অনুসন্ধান করে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত আসা খবর বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে এলে আদালত স্বপ্রণোদিত হলে রুলসহ এ আদেশ দেন।

দুধ, দই এবং গোখাদ্যে ভেজাল মেশানোর ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করতে কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুধ-দইয়ে অ্যান্টিবায়োটিক, অণুজীব, কীটনাশক ও সিসার ছাড়াও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান আছে কিনা, তা নিরূপণে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছয় মাস পর পর এ কমিটিকে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা খাদ্য সমন্বয় কমিটি ও বিএসটিআইয়ের চেয়ারম্যানের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির (এনএফএসএল) এক গবেষণায় গাভির কাঁচা দুধে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি কীটনাশক ও নানা ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের উপাদান পাওয়া গেছে। পাওয়া গেছে বিভিন্ন অণুজীবও। একই সঙ্গে প্যাকেটজাত গাভির দুধেও অ্যান্টিবায়োটিক ও সিসা পাওয়া গেছে মাত্রাতিরিক্ত। বাদ পড়েনি দইও। দুগ্ধজাত এই পণ্যেও মিলেছে সিসা।

সংস্থাটি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) আর্থিক সহায়তায় গাভির খাবার, দুধ, দই ও প্যাকেটজাত দুধ নিয়ে এই জরিপের কাজ করেছে।

সরকারের ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি গরুর দুধের ৯৬ শতাংশ নমুনায় অণুজীব, ৩০ শতাংশ প্যাকেটজাত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বাজারের কোনো কোনো দইয়ে ক্ষতিকর সিসাও আছে। প্রতিষ্ঠানটি গোখাদ্যেও মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকসহ নানা ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পেয়েছে।