প্রশ্নপত্র পেয়েই ছবি তুলে ফেসবুকে পাঠাত সে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

প্রশ্নপত্র ফাঁসের গোপন খবরের ভিত্তিতে টাঙ্গাইলের সখীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে স্মার্টফোনসহ এক এসএসসি পরীক্ষার্থী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হাতে ধরা পড়েছে। তার নাম সাব্বির হোসেন সজিব (১৭)। তার মোবাইলে আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হওয়া ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নও পাওয়া যায়। প্রতিদিন প্রশ্নপত্র হাতে পেয়েই ছবি তুলে সে রাজধানী ঢাকা, ময়মনসিংহের ভালুকাসহ পাঁচজনের ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠাত।

সজিব সখীপুর পিএম পাইলট মডেল সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল।

সখীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ভেন্যু কেন্দ্রের সচিব আনোয়ার হোসেন এ ঘটনায় বাদী হয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে সাব্বির হোসেন সজিবকে আসামি করে মামলা করেন।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ওই পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষার শুরুর দিন থেকে প্রতিটি পরীক্ষায় মুঠোফোন নিয়ে পরীক্ষার হলে যেত। পরে প্রশ্নপত্র হাতে পেয়েই ছবি তুলে তা রাজধানী ঢাকা, ময়মনসিংহের ভালুকাসহ পাঁচজনের ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠাত। তাঁরা ওই প্রশ্নের উত্তর তৈরি করে সজিবের মুঠোফোনে ম্যাসেজ করত। সজিবকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় রিমান্ড চেয়ে কাল মঙ্গলবার টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হবে।

এদিকে সজিব যে কক্ষে পরীক্ষা দিচ্ছিল সেই ১৩ নম্বর কক্ষে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ছোটমৌশা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নিলুফা ইয়াসমিন ও সখীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোশাররফ হোসেনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

এ ছাড়া কেন্দ্রে শিক্ষকদের মুঠোফোন নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অমান্য করায় সাড়াশিয়া-বাশারচালা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু তাহের, ইছাদীঘি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওয়াদুদ হোসেন, ঢনঢনিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু সাঈদ তালুকদার, রাজাবাড়ী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আহসান হাবীব ও একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুর রউফকে ২০০ টাকা করে জরিমানা ও পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আজ সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুর রহমান।