জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

চট্টগ্রামের ফিরোজ শাহ এস্টেটের ৩০৮ কাঠা জমি বেআইনিভাবে বন্দোবস্ত দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে রাজধানীর জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ বিষয়ে গুরুতর অনিয়মের তথ্য উদ্‌ঘাটনের কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার এ অভিযান চালানো হয় বলে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সংস্থার অভিযোগ কেন্দ্রে (১০৬ নম্বরে) অভিযোগ পেয়ে দুদকের এনফোর্সমেন্ট দলের সদস্যরা সেখানে অভিযান চালান।

অভিযানে অনিয়মের তথ্য উদ্‌ঘাটন করে দলটি। দুদক জানিয়েছে, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ফিরোজ শাহ হাউজিং এস্টেটের জমি থেকে ৫ দশমিক ১৩ একর জমি গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নয় মর্মে সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ওম প্রকাশ নন্দী অনাপত্তি দেন। এর মাধ্যমে ওই জমি কর্তৃপক্ষের বেহাত হয়। নির্বাহী প্রকৌশলীর অনাপত্তিপত্র চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবর পাঠানো হয়। অনাপত্তিপত্র পাওয়ার পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ওই জমির নতুন খতিয়ান তৈরি করে এবং সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের জন্য নির্দেশনা দেয়। নির্দেশনা পাওয়ার পর সহকারী কমিশনার ওই জমি ২৮ জন বরাদ্দ গ্রহীতার নাম জারি করেন। এ কারণে ১০০ কোটি টাকারও বেশি দামের সরকারি সম্পত্তি বেহাত হয়ে যায়। দুদক টিম জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে রেকর্ডপত্র পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে এসব তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হয়।

সরকারি জমি বেহাত হওয়ার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার শিগগিরই জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ থেকে দুদকে নথিপত্র পাঠানো হবে হবে মর্মে দুদক দলকে জানানো হয়।
এ অভিযান প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, সরকারি সম্পত্তি নিয়ে দুর্নীতির ঘটনা রোধে দুর্নীতি দমন কমিশন কঠোরভাবে তৎপর রয়েছে। এ ঘটনার ওপর দুদক শিগগিরই অনুসন্ধান শুরু করবে এবং দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।