আন্দোলন স্থগিত সেকায়েপের শিক্ষকদের

চাকরি স্থায়ী করা বা পরের প্রকল্পে স্থানান্তরের দাবিতে শুরু করা লাগাতার অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন সেকায়েপ প্রকল্পের অধীন অতিরিক্ত শ্রেণিশিক্ষকেরা (এসিটি)। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর ‘আশ্বাসে’ আজ বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।

আন্দোলনকারীদের একজন প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, বুধবার শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করার সময় তিনি দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। এ জন্য তাঁরা আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। যদি এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণের ব্যবস্থা না হয়, তাহলে আমরণ অনশনে যাবেন।

দাবি আদায়ে তাঁরা প্রথমে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে অবস্থান ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন। এরপর ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার অনশন শুরু করেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা বলেছেন, সরকারের সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্টের (সেকায়েপ) অধীনে ২০১৫ সালে তাঁদের মতো সারা দেশে ৫ হাজার ২০০ জন অতিরিক্ত শ্রেণিশিক্ষক নিয়োগ করা হয়, যাঁদের প্রায় সবাই ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক। তাঁদের দাবি, সরকার আশ্বাস দিয়েছিল ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্প শেষে তাঁদের চাকরি স্থায়ী করা হবে। কিন্তু এখনো স্থায়ী করা হয়নি। ফলে এখন বেতন ছাড়াই প্রায় ১৪ মাস ধরে ক্লাস নিচ্ছেন। তাঁদের দাবি, মানবিক দিক বিবেচনা করে হলেও তাঁদের চাকরি স্থায়ী বা পরবর্তী প্রকল্পে নেওয়া হোক।