প্রধানমন্ত্রী মিউনিখে পৌঁছেছেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (বাসসের ফাইল ছবি)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (বাসসের ফাইল ছবি)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগদানের জন্য তিন দিনের সরকারি সফরে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জার্মানির মিউনিখে পৌঁছেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি তাঁর প্রথম বিদেশ সফর।

দেশে ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফর করবেন। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগদান ছাড়াও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সেখানে শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও হেলথ ক্যাম্পেইনারদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফর সঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ভিভিআইপি ফ্লাইটটি বেলা ১টা ১০ মিনিটের সময় (মিউনিখ সময়) মিউনিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মিউনিখের উদ্দেশে যাত্রা করে।

শেখ হাসিনা ১৭ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবুধাবি সফর করবেন। সেখানে তিনি ১৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে (আইডিইএক্স-২০১৯) অংশ নেবেন।

মিউনিখে স্থানীয় সময় আজ সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা হোটেল শেরাটনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সফরকালে তিনি সেখানেই অবস্থান করবেন।

প্রধানমন্ত্রী কাল নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভাষণ দেবেন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ওপর আলোচনায় অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু) আয়োজিত ‘হেলথ ইন ক্রাইসিস-হু কেয়ার্স’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি ২০১৭ সালের নোবেল বিজয়ী পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস–বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রচারণা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিয়াট্রিস ফিন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) শীর্ষ প্রসিকিউটর ড. ফাতৌ বেনসৌদার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী সিমেন্স এজির প্রেসিডেন্ট ও সিইও জোয়ে কায়িজার এবং ভারিদোসের সিইও হ্যান্স উল্ফগং কুঞ্জের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট বোর্জ ব্রেন্ডি এবং জিগসাওয়ের সিইও জারেড কোহেনের যৌথভাবে আয়োজিত এক নৈশভোজ সভায় অংশ নেবেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাজ এ সিকিউরিটি থ্রেট’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনায় যোগ দেবেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ থেকে আবুধাবিতে পৌঁছাবেন এবং আবুধাবি ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারে (এডিএনইসি) ইন্টারন্যাশনাল ডিফেন্স এক্সিবিশনের (আইডিইএক্স-২০১০) উদ্বোধনী সেশনে যোগ দেবেন।
এ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মাদ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠক এবং ইউএইর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং আমিরাত অব দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মাদ বিন রশিদ আল মাকতুম ও অন্যান্য নেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা আল বাহার প্যালেসে ইউএইর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম প্রেসিডেন্ট এবং আবুধাবির শাসক মরহুম শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের স্ত্রী শেখা ফাতিমা বিনতে মুবারক আল কেতবির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী সেন্ট রেগিস আবুধাবি হোটেলে অনুষ্ঠেয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এ সফর চলাকালে তিনি সেখানে অবস্থান করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ ফেব্রুয়ারি সকালে দেশে ফিরবেন।