শরীয়তপুর-চাঁদপুর বেইলি সেতু ভেঙে যান চলাচল বন্ধ

শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বেইলি সেতু ভেঙে পড়েছে। ছবি: প্রথম আলো।
শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বেইলি সেতু ভেঙে পড়েছে। ছবি: প্রথম আলো।

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের একটি বেইলি সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের জাজিয়াহার খালের ওপর নির্মিত এ সেতুর পূর্ব পাশের স্টিলের প্লেট ভেঙে পড়েছে।

এতে রাত থেকে সেতুটির দুই পাশে অন্তত দুই শতাধিক গাড়ি আটকে আছে। দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। কাঁচামাল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গাড়ির চালকেরা।

স্থানীয় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্র জানায়, শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ২৭ কিলোমিটার এলাকায় পাঁচটি বেইলি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ। তার একটি জাজিয়াহার এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরে সেতুগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ১০ টনের অধিক ভারী যানবাহন সেতুতে না ওঠার জন্য সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে সড়ক বিভাগ। কিন্তু তা উপেক্ষা করে ৩৫ থেকে ৪০ টন মালামাল নিয়ে সেতু পার হয় পণ্যবাহী ট্রাক। সেতু পাঁচটি সংস্কারেরও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। গতকাল রাত আটটার দিকে রেলের স্লিপারভর্তি একটি ট্রাক সেতুটি পার হওয়ার সময় দুটি প্লেট বিধ্বস্ত হয়। তখন ট্রাকটি সেতুতে আটকে যায়। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে সেতু থেকে ট্রাকটি নামানো হয়। কিন্তু সংস্কার না হওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ট্রাকচালক সালেক সরদার বলেন, বেনাপোল থেকে ট্রাকভর্তি রেলের স্লিপার নিয়ে কুমিল্লা যাওয়ার পথে বেইলি সেতুটির প্লেটের নাট খুলে যায় এবং ট্রাকটির বাঁ পাশের চাকা দেবে যায়।

বেইলি সেতুর স্লিপার খুলে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ছবি: প্রথম আলো
বেইলি সেতুর স্লিপার খুলে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ছবি: প্রথম আলো

আটকে পড়া গাড়িচালক সোহাগ শেখ, ওসমান শেখ ও মনির হোসেন জানান, তাঁরা চট্টগ্রাম থেকে মালামাল নিয়ে খুলনায় যাচ্ছেন। সেতুটি ভেঙে পড়ায় আবার চট্টগ্রাম ফিরে যেতে হবে কি না, সে চিন্তায় আছেন।

শরীয়তপুর সওজের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, একটি ট্রাক প্রয়োজনের চেয়ে বেশি মাল বহন করে সেতুটির ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় সেতুটি ভেঙে যায়। এতে যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেতু থেকে ট্রাকটি নামাতে পারলেও ওই ট্রাকের মালামাল সেতুতে রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব সেতুটি মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে। বিকেলের মধ্যেই যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হবে।