পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির ২য় সভা অনুষ্ঠিত

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি সইয়ের ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ছবি: সংগৃহীত
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি সইয়ের ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ছবি: সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির দ্বিতীয় গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক সাংসদ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভাটি জাতীয় সংসদ ভবনে তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের কার্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ বৈঠকের কথা জানানো হয়েছে। এ কমিটি গত বছর পুনর্গঠন হওয়ার পর এটি ছিল দ্বিতীয় সভা।

২০০৯ সালের মে মাসে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পরিবীক্ষণ কমিটি করে সরকার। ওই সময় সংসদ উপনেতা হিসেবে সাজেদা চৌধুরী মন্ত্রীর মর্যাদায় ওই কমিটিতে ছিলেন। এরপর গত বছরের জানুয়ারি মাসে আবুল হাসনাত আবদুল্লাহকে প্রধান করে এ কমিটি পুনর্গঠন করে সরকার।

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে চুক্তি সই করেছিলেন। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পরিবীক্ষণ করার জন্য একটি কমিটি থাকবে। নতুন পুনর্গঠিত কমিটিতে সদস্য হিসেবে আগের ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় ওরফে সন্তু লারমা এবং টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে সদস্য হিসেবে বহাল রাখা হয়।

গতকালের সভায় ভূমি সমস্যার সমাধান, সাধারণ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা, অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার, শরণার্থী পুনর্বাসন সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের কার্যক্রম, লিজকৃত জমির সঠিক ব্যবহার, ভূমি কমিশন আইনের বিধিমালা প্রণয়নসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়। ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তিসংক্রান্ত জমাকৃত আবেদনগুলো বিবেচনায় আনার বিষয়েও আলোচনা হয় সভায়।

সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা, আরকে সদস্য সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব রতন চন্দ্র পণ্ডিত, সিনিয়র সহকারী সচিব রীভা চাকমা উপস্থিত ছিলেন।