চলে এসো বর্ণের বর্ণিল মেলায়

বর্ণমেলা
বর্ণমেলা

শিশু মনোবিজ্ঞান বলে, খুব ছোটবেলা থেকে শিশুর হাতে তুলে দিতে হয় বই। সে পড়বে না—বই হাতে নেবে, নাড়বে। বইয়ের সঙ্গে তার আত্মার একটা যোগ ঘটবে। আমার মনে আছে, শিশুবিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আমাদের বলেছিলেন, আমাদের ছোট্ট মেয়েটির সামনে যেন আমরা মুড়ি বা ভাত রাখি, ও একটা একটা করে তুলবে, তাতে ওর আঙুল সক্রিয় হবে, আর বুদ্ধির সঙ্গে নাকি আঙুলের সম্পর্ক আছে। এই সময়ে বর্ণমেলা তাই ভীষণ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কারণ, কাগজের বইয়ের সঙ্গে আজকের প্রজন্মের দূরত্ব বাড়ছে। লেখার কাজটাও কি ভবিষ্যতে শুধু কি-বোর্ডেই হবে? প্রথম আলো-সার্ফ এক্সেল বর্ণমেলায় থাকে বর্ণ নিয়ে নানা আয়োজন। শিশুরা বর্ণ তৈরি করে, শিশুরা বর্ণের গায়ে রং চড়ায়, বর্ণের গোলকধাঁধায় হারিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা আর বর্ণমালা নিয়ে আয়োজনে আপনাদের স্বাগত জানাই।

শিশু-কিশোরদের বলি, বর্ণমেলায় চলে এসো। সাক্ষাৎ পাবে তোমার পছন্দের শিল্পী, লেখক ও শিক্ষাবিদদের। এবারের বর্ণমেলার সম্পৃক্ত শব্দ ‘আন্তর্জাতিক’। তাই থাকবে বিদেশি দূতাবাসের অংশগ্রহণ। মেতে উঠতে পারো বর্ণদোলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, জলপুতুল, সিসিমপুরের পরিবেশনা, ছবি আঁকা, হাতের লেখা প্রতিযোগিতাসহ বর্ণ নিয়ে বিচিত্র সব আয়োজনে।

এ ছাড়া তোমরা যারা বর্ণ বানানো প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছ, তারা এসে নিজের বর্ণও খুঁজে নিতে পারো প্রদর্শনীতে। শুধু কি তা-ই? তোমার বর্ণ সেরা হলে পাবে পুরস্কারও। আর অবশ্যই বর্ণমেলায় মাকে সঙ্গে আনবে। কারণ, মাঠে রয়েছে একটি আয়োজন, যেখানে বসে মা তোমাকে লিখবেন চিঠি, আর তুমি মাকে চিঠি লিখে ফেলবে ডাকবাক্সে। সেরা পাঁচটি চিঠি ধারাবাহিকভাবে ছাপা হবে প্রথম আলোর গোল্লাছুট পাতায়।

অভিভাবকদের বলব, আপনার সন্তানকে সঙ্গে আনুন। প্রাণখুলে সবে মাতুক তারা। আপনার ছোট্ট সোনামণির হাতেখড়ি দিতে বর্ণমেলায় উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্টজনেরা। আনন্দ আর মজার এ আয়োজন হচ্ছে দেশের তিন জায়গায়। একসঙ্গে। ঢাকায় সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে, চট্টগ্রামে নাসিরাবাদ সরকারি বালক বিদ্যালয় এবং রাজশাহীতে কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে। বর্ণমেলা সকাল নয়টায় শুরু হয়ে চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা শুরু হবে সকাল সাড়ে নয়টায়। সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতার শুরু সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। প্রতিযোগীদের মেলা প্রাঙ্গণে ৩০ মিনিট আগে চলে আসতে হবে।

শিশু-কিশোরদের মধ্যে বাংলা বর্ণ, ভাষা ও ভাষা আন্দোলনের গৌরবগাথা নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম আলো প্রতিবছর এ আয়োজন করে। বরাবরের মতো পৃষ্ঠপোষকতা করছে সার্ফ এক্সেল। সহযোগিতায় আরও থাকছে পেপসোডেন্ট, লাইফবয় ও পিওরইট। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে নাগরিক টেলিভিশন, প্রচার সহযোগী হিসেবে আছে দুরন্ত টেলিভিশন।