গাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা, গণপিটুনিতে নিহত ১

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

যাত্রীবাহী গাড়িতে ডাকাতির চেষ্টাকালে গণপিটুনিতে একজন নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে গোপালগঞ্জ থানার পুলিশ ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. সেন্টু (৪০)। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার কিল্লারপুর গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলাম ওরফে মাওলা বক্সের ছেলে। পুলিশ বলছে, সেন্টু ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন।

ওই গাড়ির যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শী রাজু শেখ ও মো. মিলন হাওলাদার প্রথম আলোকে জানান, মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের বাড়িতে আসার উদ্দেশে ব্যাপারী পরিবহনের একটি গাড়িতে ওঠেন তাঁরা। ওই বাসে প্রায় ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। যাত্রীবাহী গাড়িটি রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজ এলাকার মদনপুরে পৌঁছালে গাড়ির সাইড গ্লাস ভেঙে তিন ডাকাত গাড়ির ভেতরে ঢোকেন। ডাকাতেরা গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিতে চালক ও সুপারভাইজারের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন। এমন সময় গাড়িতে থাকা অন্য গাড়ির শ্রমিকেরা এক ডাকাতকে ধরে মারধর করেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অপর দুই ডাকাত গাড়িতে লাফিয়ে সটকে পড়েন। এ সময় গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ওই ডাকাত। পরে গাড়িটি গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইন এলাকায় রেখে গাড়ির চালক, সুপারভাইজার এবং অন্য গাড়ির শ্রমিকেরা পালিয়ে যান।

গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গোলাম ফারুক বলেন, বুধবার সকালে বাসের যাত্রীরা পুলিশকে খবর দিলে বাসের ভেতর থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় গাড়ি চালকের সহকারী আকাশ তালুকদারকে (২২) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করে। আর বাসের যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ঘটনাটি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানা এলাকায় হওয়ায় ওই থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহত ওই ডাকাতের নামে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, ছিনতাই, অস্ত্র, মাদকসহ এক ডজন মামলা রয়েছে।

এ দিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা শুনেছি। কিন্তু প্রকৃত স্থানটি কোথায়, কেউ সেভাবে বলতে পারেনি। এই ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’