একসঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন ছয় বন্ধু

ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে মানুষের ভিড়। ছবি: দীপু মালাকার
ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে মানুষের ভিড়। ছবি: দীপু মালাকার

পুরান ঢাকার চকবাজারে রাজ্জাক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভাই ও ভাইয়ের পাঁচ বন্ধুকে খুঁজতে ঘটনাস্থলে আর হাসপাতালে ছোটাছুটি করছেন ফিরোজ। অগ্নিকাণ্ডস্থলের আশপাশ এলাকায় খোঁজার পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ও মর্গে ছোটাছুটি করছেন। গিয়েছিলেন মিটফোর্ড হাসপাতালেও। আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত তাঁদের কোনো খোঁজ পাননি ফিরোজ।

ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ফিরোজের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। ফিরোজ বলেন, গতকাল রাতে ওই ভবনের পাশে হায়দার মেডিকেল ডিসপেনসারিতে ফিরোজের ভাই হীরা পাঁচ বন্ধুকে নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ফিরোজ বলেন, তিনি জেনেছেন, আকস্মিক বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে তাঁরা সবাই সেখানে আটকা পড়ে যান। হয়তো ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হয়ে মারা যান। স্থানীয় লোকজন বলেছেন, হায়দার মেডিকেল ডিসপেনসারি থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু সেসব লাশ এখন কোথায় আছে, কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না। ফিরোজ তাঁর ভাই হীরার বাকি পাঁচ বন্ধুর নাম জানাতে পারেননি।

মো. সেলিম নামের একজন বন্ধু রেজাউল ইসলামকে খুঁজছেন। তিনি আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছেন সেলিম। আহত রেজাউল ওয়্যার হাউসে কাজ করেন। তাঁর বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জে।

চকবাজার এলাকায় রাজ্জাক ভবনে গতকাল বুধবার রাতে লাগা আগুনের ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আজ বেলা ১১টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী সকাল সাড়ে আটটার দিকে ব্রিফিংয়ে জানান, ৭০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও লাশ থাকতে পারে। উদ্ধারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত লাশের সংখ্যা জানা যাবে না বলছে ফায়ার সার্ভিস।

আরও পড়ুন: