এবার 'বিদ্রোহী' প্রার্থীর পক্ষে পাল্টা মিছিল-সমাবেশ

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী শফিকুল ইসলামের ঝাড়ু-বইঠা মিছিলের দুই দিন পর বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আদেশ আলীর পক্ষে ‘শান্তি মিছিল-সমাবেশ’ হয়েছে। ‘সিংড়া উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ’ লেখা ব্যানারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ এতে যোগদান করে।

ছাত্রলীগের নেতা কামরুল সরকারের ওপর হামলার প্রতিবাদে গত বুধবার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ঝাড়ু-বইঠা মিছিল করেছিল। তার পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে শনিবার সন্ধ্যায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক দখল করে সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শান্তি মিছিল-সমাবেশ করা হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নবীর উদ্দিনের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দেন সিংড়া পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও ইটালি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তাজপুর ইউপির চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন সরদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চৌগ্রাম ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও শেরকোল ইউপির চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব, ডাহিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এম এম আবুল কালাম, কলম ইউপির চেয়ারম্যান মঈনুল হক, চামারী ইউপির চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম মৃধা, সুকাশ ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ, হাতিয়ানদহ ইউপির চেয়ারম্যান মাহাবুব উল আলম, উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র (দোয়াত-কলম) চেয়ারম্যান প্রার্থী আদেশ আলী সরদার।

জান্নাতুল ফেরদৌস তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জের ধরে ছাত্রলীগের নেতা কামরুল সরকারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। অথচ নৌকার প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বিষয়টি রাজনৈতিক রূপ দিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি দেশীয় অস্ত্রপাতি নিয়ে ঝাড়ু-বইঠা মিছিল করেন। যা সিংড়ার ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। মিছিলে আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় নেতাদের অপমান করে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়েছে। স্লোগানের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদকে অপমানিত করা হয়েছে। তাই তাঁরা নিরাপদ সিংড়া গড়ার লক্ষ্যে শান্তি মিছিল-সমাবেশের আয়োজন করেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লড়াই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নয়, নৌকার বিরুদ্ধে নয়। এ লড়াই বেইমান-মোনাফেকদের বিরুদ্ধে।’

সমাবেশ সম্পর্কে নৌকার প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি থেকে সদ্য দলে যোগ দেওয়া একজন সন্ত্রাসীকে নৌকার বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে দিয়ে তাঁর পক্ষে শান্তি মিছিল সমাবেশ করা তামাশা ছাড়া আর কিছু না। আওয়ামী লীগ নামধারী আমার প্রতিপক্ষরা ছাত্রলীগ নেতার হাত-পা ভেঙে দিয়ে সমাবেশে নিরাপদ সিংড়া গড়ার কথা বলেছেন। এটা সিংড়াবাসীর সঙ্গে প্রহসন।’