রাসায়নিকের গুদাম সরাতে মাইকিং

চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের পাঁচ দিন পর গতকাল মঙ্গলবার আবাসিক ভবন থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিকের গুদাম সরানোর জন্য মাইকিং করা হয়েছে। পুরান ঢাকার চানখাঁরপুল, বকশীবাজার, নাজিমুদ্দীন রোড, বাবুবাজার, বংশাল এলাকায় রিকশায় করে মাইকিং করা হয়। গুদাম ও মজুত সরানো না হলে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিশেষ অভিযানে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঘোষণায় বলা হয়, ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার জনগণের নিরাপত্তার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ওই এলাকার রাসায়নিকের মজুত থাকলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে। এ নির্দেশ অমান্য করা হলে বাড়ির মালিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জানতে চাইলে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সাতটি মাইক দিয়ে পুরান ঢাকার অলিগলিতে গুদাম সরানোর জন্য সতর্কতামূলক বার্তা দেওয়া হয়েছে। অভিযান চালাতে গেলে অনেকে বলেন যে তাঁরা সময়সীমার বিষয়ে জানতেন না। তাই পুরান ঢাকায় মাইকিং করে সবাইকে অভিযানের বিষয়ে অবগত করা হচ্ছে। আজও মাইকিং করা হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে গত সোমবার এক যৌথ সভায় ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদাম সরিয়ে ফেলতে সিটি করপোরেশন গঠিত টাস্কফোর্স ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মাঠে নামবে। এ জন্য দুই স্তরবিশিষ্ট টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। প্রথম স্তরটি উচ্চপর্যায়ের এবং দ্বিতীয় স্তরটি মাঠপর্যায়ের। প্রথম স্তরে থাকবেন পরিকল্পনা প্রণয়নে সব সংস্থার প্রধানেরা আর দ্বিতীয় স্তরে থাকবেন গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংস্থার প্রতিনিধিরা, যেমন ম্যাজিস্ট্রেট, ওসি, কমিশনার, ব্যবসায়ী প্রমুখ।

২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে চুড়িহাট্টার ৬৪ নম্বর ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৬৯ জন মারা গেছেন। প্রাথমিক তদন্তে আগুনের কারণ হিসেবে রাসায়নিককেই দায়ী করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর থেকেই পুরান ঢাকার আবাসিক ভবনগুলো থেকে রাসায়নিক সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সিটি করপোরেশন।